মুকুলের ‘তালিকা’ই এখন বিজেপির আতঙ্ক! মিশন ২০২১-এর লক্ষ্যে শুরু চাপান-উতোর
মুকুল রায়ের তালিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল রাজ্য বিজেপি। সম্প্রতি রাজ্যের ১০৭ জন বিধায়ক বিজেপিতে যেতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছিলেন মুকুল রায়।
মুকুল রায়ের তালিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল রাজ্য বিজেপি। সম্প্রতি রাজ্যের ১০৭ জন বিধায়ক বিজেপিতে যেতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছিলেন মুকুল রায়। তারপর সেই তালিকা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই তীব্র অসন্তোষ শুরু হয়েছে। বিজেপিতে প্রকাশ্যে চলে এসেছে আদি ও বনাম নব্যের দ্বন্দ্ব।
মুকুলের বিরুদ্ধে সরব
বিজেপি নেতাদের একাংশই মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, মুকুলবাবু টিকিটের 'লোভ' দেখিয়ে অন্য দল ভাঙাচ্ছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ওইসব দলত্যাগীদেরই টিকিট পাইয়ে দেওয়ার জন্য তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দরবারে লড়াই করবেন বলেও জানিয়েছেন। এতদিন বিজেপির জন্য লড়াই করেই 'আদি' নেতারা ফাঁকা পড়ে যাবেন বলে আশঙ্কিত।
বিজেপি নেতাদের অসন্তোষ
রাজ্য বিজেপি নেতারা তাঁদের অসন্তোষের কথা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কানে পৌঁছে দিয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের কাছে তাঁরা আবেদন জানিয়েছেন, বিজেপির আদি নেতাদের কথাও যেন গুরুত্ব সহকারে বিধানসভায় নির্বাচনের প্রার্থী তালিকায় ভাবা হয়।
মুকুলের বিরুদ্ধে আদি নেতারা
আদি নেতাদের বক্তব্য, মুকুলবাবু যে ভাবে তৃণমূল কিংবা অন্য দল ভাঙাচ্ছেন, তাতে পুরো ব্যবস্থাটিই ঘেঁটে যাবে। লোকসভা নির্বাচনে যেমন দলত্যাগীদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, বিধানসভার ক্ষেত্রেও তা হবে। ফাঁকে পড়ে যাবেন প্রথম থেকে বিজেপির হয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়া নেতারা।
মুকুল শিবিরের দাবি
মুকুল-শিবির মনে করছে, সংগঠন বাড়াতে গেলে অন্য় দল ভাঙাতেই হবে। মুকুলবাবু সেই কাজটিই করে চলেছেন। যদিও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মুকুলবাবুর দল ভাঙানোর এই পদ্ধতি মানছেন না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নির্বাচন কমিটি গড় বুঝিয়ে দিয়েছে, মুকুলবাবু দলবদর সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে এককভাবে নিতে পারবেন না। রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েই তাঁকে দলবদল করাতে হবে।
দিলীপের নতুন-পুরনো বার্তা
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, তাঁদের দলে নতুন-পুরনোর মধ্যে কোনও ভাগাভাগি নেই। তিনি বলেন, তালিকাতে নতুন-পুরনো সব ধরনের নেতা রয়েছেন। গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এমন নেতাকে, যিনি জিততে পারবেন। তিনি নতুনও হতে পারেন, পুরনোও।