বিজেপিতে ভাঙছে জঙ্গলমহলে, লোকসভা নির্বাচনের আগে দলবদলে শক্তিবৃদ্ধি তৃণমূলের
পঞ্চায়েত ভোটে পুরুলিয়া-সহ জঙ্গলমহলে বিজেপি ভালো ফল করেছিল। অন্য জেলার মতো আশাতীত ফল হয়নি তৃণমূলের। তখন থেকই পুরুলিয়ায় বইছিল গেরুয়া হাওয়া।
পঞ্চায়েত ভোটে পুরুলিয়া-সহ জঙ্গলমহলে বিজেপি ভালো ফল করেছিল। অন্য জেলার মতো আশাতীত ফল হয়নি তৃণমূলের। তখন থেকই পুরুলিয়ায় বইছিল গেরুয়া হাওয়া। এই অবস্থায় বিজেপি য়খন লোকসভায় এই জেলাকে টার্গেট করেছে, তখনই তৃণমূলের জন্য খুশির খবর। পুরুলিয়ার কাশীপুরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের যোগ দিলেন ৩০টি পরিবারে।
বিধায়কের হাত ধরে তৃণমূলে
কাশীপুরের বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়ার হাত থেকে বিজেপির কর্মীরা তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন। এই দলবদলের পর স্বভাবতই এলাকায় শক্তি বাড়ল তৃণমূলের। পঞ্চায়েতে যে ধাক্কা খেয়েছিল, তা অনেকটাই সামলে নিল লোকসভা নির্বাচনের আগে সংগঠন বাড়িয়ে।
উন্নয়নের লক্ষ্য বিজেপি ত্যাগ
এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে তাঁরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখালেন তাঁরা, এমনটাই দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। বিধায়ক জানান, মা-মাটি-মানুষের সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে সামিল হতেই তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে এলেন। দলীয় পতাকা হাতে তুলে দিয়ে তাঁদের আমরা স্বাগত জানালাম।
বিজেপির কপালে চিন্তার ভাঁজ
এর মাসখানেক আগে একইভাবে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে বিজেপি ছে়ড়ে তৃণমূলের আসেন তিন নেতা। কিছুদিন আগে তাঁরাই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। পঞ্চায়েতের আগেই দলবদল করেছিলেন তাঁরা। পঞ্চায়েত ভোটের পর লোকসভার প্রাক্কালে তাঁরা ফের পুরনো দলে ফিরলেন। এর ফলে বিজেপির কপালে ভাঁজ পড়ল।
আগে দলবদল করেন যাঁরা
রঘুনাথপুর দু-নম্বর ব্লকের সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্যায়, যুব মোর্চার ব্লক সভাপতি চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় এবং ব্লক কমিটির সদস্য কিষাণ বাউরি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। বিধায়ক উমাপদ বাউড়ি ও জেলা পরিষদ সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন।
দলবদলে বিজেপির দাবি
এই তিনজনের দলবদলে বিজেপি দাবি করে, ওই তিন নেতা নানা দলবিরোধী কাজ করছিলেন। ফলে তাঁরা দল থেকে বেরিয়ে গেলে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না। বিজেপির শক্তি়ক্ষয় হল, এই যুক্তি ঠিক নয়। কারণ বিজেপি বাড়ছে, বিজেপি কোনও একজনের উপর নির্ভর করে না।