মুকুলের ক্যারিশ্মা উধাও হতেই পায়ের তলার মাটি হারাচ্ছে বিজেপি! জঙ্গলমহলে ভাঙন শুরু
লোকসভা নির্বাচনের আগে মুকুল রায়ের ক্যারিশ্মায় আচমকাই জঙ্গলমহলে দাপট বেড়েছিল গেরুয়া শিবিরের। কিন্তু ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে খুব দ্রুত জমি হারাচ্ছে বিজেপি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে মুকুল রায়ের ক্যারিশ্মায় আচমকাই জঙ্গলমহলে দাপট বেড়েছিল গেরুয়া শিবিরের। কিন্তু ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে খুব দ্রুত জমি হারাচ্ছে বিজেপি। দলে দলে যোগদান করতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসে। জঙ্গলমহলে বিজেপি ছেড়ে একই ব্লকে শ-পাঁচেক সক্রিয় বিজেপি কর্মী এক মাসের মধ্যেই যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।
দ্রুত জমি হারিয়ে ফেলছে গেরুয়া শিবির
বিজেপি ছেড়ে শুধু নেতা-কর্মীরাই আসছেন তা নয়, আসছেন সাধারণ সমর্থকরাও। ফলে দ্রুত জমি হারিয়ে ফেলছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি ছাড়ার পর সক্রিয় কর্মীদের অভিযোগ, বিজেপির কথাও ও কাজে বিস্তর ফারাক। যা বলে তা করে না বিজেপি। ফলে বিজেপির প্রতি তাঁদের মোহভঙ্গ হয়েছে। তারা মানিয়েও নিতে পারছেন না দলে। তাই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
মুকুল-যোগে জঙ্গলমহলে শক্তিবৃদ্ধি বিজেপির
২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে জঙ্গলমহলে দ্রুত জমি শক্ত করেছিল বিজেপি। মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই জঙ্গলমহলে শক্তি বাড়াতে শুরু করে বিজেপি। একদিকে মুকুল রায়, অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ উভয়ে মিলে জঙ্গলমহলে তৃণমূলের দাপট লঘু করে দেয়। তার প্রভাবেই জঙ্গলমহলের সমস্য় আসনই জয় হাসিল করে বিজেপি।
জঙ্গলমহলে ফের উলটপুরান ঘটতে শুরু করেছে
তৃণমূল সেই কারণেই জঙ্গলমহলকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। ফের তাদের প্রভাব বৃদ্ধির জন্য বিজেপিকে ভাঙতে শুরু করেছে। বিজেপিতেও মোহভঙ্গ হচ্ছে অনেকের। ফলে জঙ্গলমহলে ফের উলটপুরান ঘটতে শুরু করেছে। যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন, তাঁরাই ফের কামব্যাক করছেন।
২০২১-এর আগে আশার আলো দেখছে তৃণমূল
এই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে দেশজুড়ে লকডাউনের মাঝেই বিজেপি ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে জঙ্গলমহলে। তৃণমূলের ফের বাড়বাড়ন্ত। স্বল্প সময়ের মধ্যে এই পরস্থিতি বদলে ২০২১-এর আগে আশার আলো দেখছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জঙ্গলমহলকে কাছে টানতে ফের কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক
সম্প্রতি ঝাড়গ্রামের একটি ব্লকের সিংহভাগ কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই দলবদল ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব ফেলতে বাধ্য। কর্মীরা যদি না থাকে ভোট করানো খুব দুষ্কর ব্যাপার হবে।
মুকুল রায়ই ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূলে! কড়া জবাবে কী বললেন কুণালকে