পাহাড়ে ধস বিজেপিতে! পুরসভা ভোটের আগে শতাধিক পরিবারের দলত্যাগে বন্ধ কার্যালয়ও
সিএএ ও প্রস্তাবিত এনআরসি আতঙ্ক যে বাংলাতেও বিজেপিকে কোণঠাসা করে দিচ্ছে, তার জলজ্যান্ত প্রমাণ হল দার্জিলিং। দার্জিলিংয়ের মতো শক্ত ঘাঁটিতে এবার বিজেপিতে বড়সড় ভাঙ দেখা দিল। শতাধিক বিজেপি কর্মী দল ছেড়ে যোগ দিলেন বিনয় তামাংয়ের মোর্চা শিবিরে। একইসঙ্গে এলাকার একমাত্র বিজেপি কার্যালয়ও বন্ধ হয়ে গেল।

বিজেপি জোর ধাক্কা খেল দার্জিলিংয়ে
সিএএ-এনআরসির প্রভাবে গোটা দেশে এখন বিজেপি বিরোধী হাওয়া উঠেছে। একের পর এক রাজ্যে হারছে বিজেপি। সম্প্রতি মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড ও দিল্লিতে হারতে হয়েছে। হারতে হয়েছে বাংলার উপনির্বাচনেও। এই অবস্থায় বঙ্গ বিজেপি জোর ধাক্কা খেল দার্জিলিংয়ের সুখিয়াপোখরিতে।

বিজেপি ছেড়ে মোর্চায়
এদিন বিজেপি ছেড়ে ১০০ পরিবার মোর্চা শিবিরে যোগ দেন। বিনয় তামাংয়ের গোর্খা জনমু্ক্তি মোর্চাতে যোগদান পর্ব হল সুখিয়াপোখরির কমিউনিটি হলে। ওই ১০০ পরিবারের সদস্যদের হাতে পতাকা তুলে দেন মোর্চা সভাপতি বিনয় তামাং। যোগদানকারীরা জানান, তাঁদের মোর্চায় যোগদানে বিজেপির সংগঠন ভেঙে গেল। বন্ধ হয়ে গেল কার্যালয়টি।

পুরসভা ভোটের আগে বিজেপি সমস্যায়
বিজেপি সে অর্থে পাহাড়ে সংগঠন বাড়াতে না পারলেও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিমল গুরুং গোষ্ঠীর সঙ্গে জোট বেঁধে বিগেত বেশ কয়েকবার এই লোকসভা আসনটি দখলে রাখতে সমর্থ হচ্ছে। ফলে এটা তাঁদের শক্ত ঘাঁটি বলা যায়। সেখানে একেবারে নিঃশেষিত হয়ে যাওয়া এই পুরসভা ভোটের আগে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

পাহাড়ে বিজেপিতে ধস
এদিন পাহাড়ে বিজেপিতে ধস নামানোর পর মোর্চা সভাপতি বিনয় তামাং বলেন, বিজেপির কারণে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। নাম বাদ পড়ার আতঙ্ক, দেশহারা হওয়ার আতঙ্ক ঘুম কেড়েছে বিজেপির। বিজেপি ছেড়ে আসা কর্মীরা আর রাজনীতি চান না। এবার তাঁদের চাই উন্নয়ন। সেই উন্নয়নে সামিল হতেই তাঁরা বিজেপি শিবির ছেড়ে মোর্চা শিবিরে যোগ দিয়েছেন।