ভরা পার্টি অফিসে তৃণমূল কাউন্সিলর গুলিবিদ্ধ, বিজেপির দিকে তির ভাইস চেয়ারম্যানের
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে দলীয় অফিসের মধ্যে কাউন্সিলর মিঠুন টিকাদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় বিজেপির দিকেই উঠল আঙুল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে দলীয় অফিসের মধ্যে কাউন্সিলর মিঠুন টিকাদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় বিজেপির দিকেই উঠল আঙুল। অভিযোগ, বিজেপিআশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূল পার্টি অফিসে ঢুকে এই হামলা চালিয়েছে। মিঠুন গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর দুটি নাম জানিয়েছে। সেই নাম ধরেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিজেপি পাল্টা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণ সামনে এনেছে।
এর আগে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুন হন। নিজের ক্লাবেই সরস্বতী পুজোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শেষে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান তিনি। তার এক ১০দিনের মধ্যেই ফের তৃণমূল পার্টি অফিসে ঢুকে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল। যার জেরে রক্তাক্ত হলেন তৃণমূল নেতা। তিনি এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই গুলিকাণ্ড প্রসঙ্গে বজবজ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত জানান, এর পিছনে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রয়েছেন। তবে তিনি জানান, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না, তাই স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না। মিঠুন যে নাম বলেছে, তা থেকেই অনুমান বিজেপি এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে। মহম্মদ ক্যাস ও কামাল খান নামে যে দুজনের নাম উঠে এসেছে, তারা বিজেপির সঙ্গে যুক্ত।
তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দু-জন মিঠুনের পরিচিত। এদিন, দলীয় অফিসেই তৃণমূল কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। মিঠুন পালানোর চেষ্টা করলে, তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পারে, মিঠুনের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ছিল। দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিঠুনের নাম গুলি-কাণ্ডে জড়ায়। তারপর মিঠুন নিজে গুলিবিদ্ধ হলেন। উল্লেখ্য, মিঠুন এদিন অভিষেকের জনসভা থেকে ফেরার পরই এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ অভিযুক্ত ক্যাস ও কামালের খোঁজ চলছে। এর মধ্যে পুরনো কোনও শত্রুতা রয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।