মোদীর কথাই মানছেন না বিজেপির নেতারা! দিলীপ ঘোষদের বিরুদ্ধেই উঠল বিরাট অভিযোগ
মোদীর কথাই মানছেন না বিজেপির নেতারা! দিলীপ ঘোষদের বিরুদ্ধেই উঠল বিরাট অভিযোগ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই এই মুহূর্তে বিজেপির প্রধান মুখ এবং একমেবদ্বিতীয়ম তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সেই মোদীর কথাই এখন শুনছেন না বঙ্গ বিজেপির নেতা-নেত্রীরা। মোদীর কথার অমান্য সমানে করে চলেছেন বঙ্গ বিজেপির ভারপ্রাপ্ত নেতারা। তাতেই রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছে। কেন মোদীকে মান্যতা দেওয়া হয়নি, তা নিয়ে বিজেপিই সরব হয়েছে।
বিজেপি দফতরেই মোদীর কথা অমান্য
এতদিন করোনা লকডাউন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ করেছেন বিজেপির নেতারা। এবার সেইসব বিজেপি নেতারাই নতুন এক প্রশ্নের মুখে। রাজ্য বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা রাজ্য দফতরের কর্মীদের কোনও বেতন দিচ্ছেন না। তাতেই বিজেপিকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
মোদীর নির্দেশ অমান্য, বেতন অমিল
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লকডাউন ঘোষণার পর কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন, কোনওভাবেই যেন অফিসকর্মীদের বেতন না কাটা হয়। তাঁরা যেন এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সঠিক সময়ে বেতন পান। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য দফতরের কর্মীদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না।
বিজেপির অন্দরের জোর বিতর্ক
অভিযোগ, লকডাউনে তাঁরা বেতন পাননি। ফলে বেজায় চটেছেন রাজ্য বিজেপির জনা ২৪ কর্মী। বিজেপির অন্দরের তা নিয়ে জোর বিতর্ক চলছে। বিজেপির রাজ্যস্তরের নেতারাই স্বীকার করে নিয়েছেন, এই জটিলতা তাড়াতাড়ি দূর করার চেষ্টা চালানো হচ্ছ। শীঘ্রই তা মিটেও যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা।
কোমর বেঁধেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব
এই খবর সামনে আসতেই কোমর বেঁধেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতারা এবার পাল্টা দিতে শুরু করেছেন বিজেপিকে। তৃণমূল নেতাজের কথায়, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে রাহুল সিনহারা শুধু নোংরা রাজনীতি করতেই ব্যস্ত। কিন্তু কর্মীদের কথা তাঁরা ভাবেন না।
বিজেপির আসল রূপ, কটাক্ষ তৃণমূলের
তৃণমূলের কটাক্ষ, যে বিজেপি হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে রাজপ্রাসাদের মতো পার্টি অফিস তৈরি করে, কিন্তু অফিসের কর্মীদের বেতন দেয় না, তাঁদের ধিক্কার জানাই। বিজেপি শাসকদলের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ নিয়ে কুৎসা করছে, নিজেরাই সেই ভুল করে চলেছে। এটাই বিজেপির আসল রূপ। তাদের ধিক্কার জানাই।
বিজেপি অফিসেই ভিন্ন চিত্র লক্ষ্যণীয়
অভিযোগ, রাজ্য বিজেপির অফিসে ২৪ জন কর্মী রয়েছেন, যাঁরা অফিস পরিষ্কার করেন, গাড়ি চালান। কিন্তু এই পরিচারক ও গাড়ি চালকরা লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে বেতন পাচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রী বেতন চালু রাখার নির্দেশ দেওয়ার পরও খাস বিজেপি অফিসেই ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করা গেল। যা নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিভাজন নয়, সমন্বয় চান বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য