রাজ্যে বহু সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আসনে ভাল ফল বিজেপির! মমতার মন্তব্যকে অস্ত্র করে এগোতে চান মুকুল
এবারের লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপির ফল অনেকটাই তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো।
এবারের
লোকসভা
নির্বাচনে
সংখ্যালঘু
অধ্যুষিত
এলাকায়
বিজেপির
ফল
অনেকটাই
তাক
লাগিয়ে
দেওয়ার
মতো।
রাজ্যের
১২৫
টি
সংখ্যালঘু
অধ্যুষিত
বিধানসভা
আসনের
মধ্যে
২৩
টি
এগিয়েছে
রয়েছে
বিজেপি।
২০১৬-র
লোকসভা
নির্বাচনে
এই
আসনগুলির
মধ্যে
মাত্র
একটিতে
এগিয়েছিল
গেরুয়া
বাহিনী।
২৩ টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কেন্দ্রে এগিয়ে বিজেপি
রাজ্যে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আসন রয়েছে ১২৫টি। এই কেন্দ্রগুলিতে ২০ শতাংশের বেশি সংখ্যালঘু ভোটার। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনগুলির মধ্যে বিজেপি এগিয়েছিল মাত্র একটি আসনে। আর ৩ বছরের মধ্যে এই সংখ্যাটা পৌঁছে গিয়েছে ২৩-এ। ২০১৬-তে তৃণমূল যেখানে এগিয়েছিল ৮৫ টি আসনে, সেখানে এবারের নির্বাচনে তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে ৯৩ টি আসনে।
মুর্শিদাবাদে ভাল ফল বিজেপির
রাজ্যের ৭০ শতাংশ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলা মুর্শিদাবাদ। এবারের লোকসভা নির্বাচনে এইজেলার তিনটি আসনেই ভোট অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছে বিজেপি। প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এই ভোট। বিশেষ করে সিপিএম থেকে বিজেপিতে যাওয়া জঙ্গিপুরের বিজেপি প্রার্থী মাফুজা খাতুনের ফল চোখে পড়ার মতো।
সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে মুকুল রায়
মুকুল রায় বলেছেন, ২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু আসনগুলির মধ্যে বাম এবং কংগ্রেস ৮৯ টি আসনে ভাল ফল করেছিল। ফলের বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, এবারের নির্বাচনে ওই ৮৯ টি আসনে সংখ্যালঘুরা তৃণমূলকে ঢেলে ভোট দিয়েছেন। সংখ্যালঘু নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে মুকুল রায়ের মন্তব্য, রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে গরু বলে মনে করেন তৃণমূল নেত্রী। ২০২১-এর আগে পরিস্থিতি বদল করতে সংখ্যালঘু মঞ্চ তৈরির কথা ভাবনায় রয়েছে বিজেপির। এই মঞ্চগুলির সঙ্গে বিজেপির সরাসরি যোগাযোগ না থাকলেও, তারা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার করবে। কৌশল হল, সংখ্যালঘুদের যে অংশ বিজেপিকে পছন্দ করে না, তারা যেন তৃণমূলকে ভোট না দেয়।