তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙন জেলায় জেলায়, রাজ্যের সাত জায়গায় দলবদলে বিজেপিতে যোগদান
সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপিতে ভাঙন রেখাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। তৃণমূলই নাগাড়ে শক্তি বাড়িয়ে চলছিল বিভিন্ন জেলায় জেলায়। তৃণমূলের এই জোয়ারের মধ্যেই তিনদিন ধরে বিজেপি পাল্টা দেওয়া শুরু করল।
সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপিতে ভাঙন রেখাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। তৃণমূল কংগ্রেসই নাগাড়ে শক্তি বাড়িয়ে চলছিল বিভিন্ন জেলায় জেলায়। তৃণমূলের এই জোয়ারের মধ্যেই তিনদিন ধরে বিজেপি পাল্টা দেওয়া শুরু করল। অন্তত সাত জায়গায় তৃণমূল-সহ অন্যান্য দল ভেঙে বিজেপি শক্তি বাড়িয়েছে। ২০২১ নির্বাচনের আগে শাসকদলকে ফের ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন বহু কর্মী। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোথায় কোথায় দলবদল করে বিজেপির শক্তি বাড়ালেন কর্মীরা।
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় প্রায় সাতশো কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য। তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএম ছেড়ে কর্মীরা যোগ দেন বিজেপিতে। ২০২১-এর আগে শক্তিবৃদ্ধি হয় তৃণমূল কংগ্রেসের।
পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল
পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন তিন শতাধিক কর্মী। আসানসোলের জামুড়িয়া বিধানসভা এলাকায় বিজেপি শক্তিবৃদ্ধি করল তৃণমূল কংগ্রেস ভেঙে।
বাঁকুড়ার হীরাবাঁধ
বাঁকুড়াতেও তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙন ধরাল বিজেপি। ভাঙন ধরল সিপিএমেও। তৃণমূল ও সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করল প্রায় ২০০টি পরিবার। বাঁকুড়া জেলার হীরাবাঁধ ব্লকে এই দলবদল হয়।
উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি
শিলিগুড়িতেও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন ১৫০ জন যুবকর্মী। শিলিগুড়ি যুব কার্যালয়ে তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেওয়া হয়। জেলা সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল তাঁদের স্বাগত জানান বিজেপিতে।
কোচবিহারের চার কেন্দ্রে
কোচবিহারের বিভিন্ন কেন্দ্রে মোট ৮১টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করেন। তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়াও সিপিএম ও কংগ্রেসেও ভাঙন ধরিয়ে দেয় বিজেপি। কোচবিহার উত্তর ও দক্ষিণ, নাটাবাড়ি, মাথাভাঙা বিধানসভা কেন্দ্রে এই যোগদান হয়।
কোচবিহারে সায়ন্তনের হাত ধরে
কোচবিহারে আরও একটি দলবদলের অনুষ্ঠান হয়েছে। সেখানে প্রায় ১২০০ কর্মী যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। তৃণমূল-সহ অন্যান্য দল ছেড়ে কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দেন সায়ন্তন বসুর হাত ধরে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন।
হুগলির আরামবাগে
এছাড়া হুগলির আরামবাগেও বিরাট সংখ্যক কর্মী-সমর্থক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। বিজেপিতে এই বিপুল জোয়ার দেখে সায়ন্তন বসু বলেছেন, এবার পরিবর্তন কেউ আটকাতে পারবে না, বাংলার মানুষই বদল চাইছেন। তার প্রমাণ দলে দলে যোগদান।