বিজেপির বিরাট উত্থান বাংলায় ৩০ বছর পর, অভিজাত-শ্রমিকশ্রেণিও তুরুপের তাস
বিজেপির বিরাট উত্থান বাংলায় ৩০ বছর পর, অভিজাত-শ্রমিকশ্রেণিও তুরুপের তাস
বাংলার বুকে ৩০ বছর পরে বিরাট উত্থান হয়েছে বিজেপির। ১৯৮৯ সালে ২ শতাংশ থেকে ২০১৯ সালে ৪০ শতাংশ ভোটে পৌঁছেছে তারা। বাংলার অভিজাত শ্রেণি থেকে শুরু করে শ্রমিক শ্রেণিও এখন বিজেপির দিকে ঝুঁকেছে। অভিজাত শ্রেণির ভোটে আর কংগ্রেসের দখলদারি নেই। আর শ্রমিক শ্রেণির ভোটে দখলদারি নেই বামেদের। তাঁরা সবাই এখন বিজেপিমুখী।
অভিজাত ও শ্রমিকশ্রেণির ভোটে বিজেপির উত্থান
পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস এবং সমতুল্য কিছু উত্তরাধিকার দরিদ্র ও শ্রমিক শ্রেণিকেও বিজেপির দিকে ঝুঁকিয়ে দিয়েছে। যার জোরে বিজেপি এখন টার্গেট করেছে বাংলাকে। আসন্ন নির্বাচনী লড়াইয়ে অভিজাত ও দরিদ্র শ্রেণির মানুষকে নিয়েই রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলকে পরাস্ত করা তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে উঠেছে এবার।
জীবন ও জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রান্তিকরা বিজেপিমুখী
বাংলার স্বাধীনতা-পরবর্তী নির্বাচনের ইতিহাসে শরণার্থীরা ৫০-এর দশক থেকে ৮০-র দশক পর্যন্ত বামদের সাথে ছিলেন। কিন্তু তাদের জীবনধারার সে অর্থে কোনও উন্নতি ঘটেনি। তাঁদের জীবন ও জীবিকা নির্বাহের জন্য 'মুসলমান'দের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করে, যা সময়ের সাথে সাথে বেড়েছে।
বিজেপির জনপ্রিয়তা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ১১টি জেলায়
১৯৯১ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রথমবারের মতো রাজ্যে ১১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল এবং প্রত্যাশামতো বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ১১টি জেলায় ভোট শতাংশ নাটকীয়ভাবে বেড়েছিল। কিন্তু সিপিএমের দাপট এবং পরবর্তী সময়ে সিপিএমকে সরিয়ে বাংলায় তৃণমূলের ক্ষমতা দখলে বিজেপি পিছু হটে। হালে বিজেপির জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা বিজেপির দিকে ঝুঁকেছে।
শিল্পে নতুন করে বড় বিনিয়োগ থেকে বঞ্চিত রাজ্য
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় সিঙ্গুরের যে সমস্ত পরিবারগুলির জমি টাটার ন্যানো প্লান্টে চলে গিয়েছিল, যা পরে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল, তারা পদ্মের পক্ষে ভোট দেবে এমনটাই মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল। শিল্পে নতুন করে বড় বিনিয়োগ থেকে বঞ্চিত রাজ্য। নরেন্দ্র মোদীর 'বিকাশ'-এর বার্তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই মন পরিবর্তন করেছিলেন সিঙ্গুরবাসী।
বিজেপির দিকে ঝুঁকেছে দরিদ্র ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষও
ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে তীব্রভাবে বিভক্ত সমাজে অভিজাত বাঙালিরা কখনও কম্যুনিস্টদের সঙ্গে ছিলেন না প্রথমে। রাজ্য বিভক্ত হওয়ার পর থেকেই তাঁরা নিজেদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রান্তিক বলে বিবেচনা করেছিল এবং বাংলার বিভাজনের জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করতে শুরু করেছিল। কংগ্রেস বিরোধী এই মানসিকতা থেকেই বামপন্থীদের সমর্থন বেড়েছি বাংলায়। তাঁরাই এখন বিজেপির দিকে ঝুঁকেছে। বিজেপির দিকে ঝুঁকেছে দরিদ্র ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষও।
কোকেন-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়, রাকেশের রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট