বিজেপিতে ঘোর মতানৈক্য, কলকাতা পুরভোটে প্রার্থী তালিকায় কারা পাবেন প্রাধান্য
বিজেপিতে ঘোর মতানৈক্য, কলকাতা পুরভোটে প্রার্থী তালিকায় কারা পাবেন প্রাধান্য
যত এগিয়ে আসছে পুরসভা ভোট, ততই তৎপরতা বাড়ছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। বিশেষ করে রাজ্যে তৃণমূলের চ্যালেঞ্জার হয়ে ওঠা বিজেপির তৎপরতা নজরে পড়ার মতো। তাই আগেভাগে গঠন হয়ে গিয়েছে নির্বাচন কমিটি। এবার আলোচনা শুরু হয়েছে প্রার্থীপদ নিয়ে। সেখানেই দানা বেঁধেছে প্রবল বিতর্ক।
বিজেপি এখনও স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি, ভোট টানতে কাদের উপর ভরসা করবে তারা। বিজেপিতে এখন দ্বন্দ্ব, কে হবেন পারের কর্তা। ভোট টানতে তারকা-মুখ, নাকি হার্ডখোর রাজনৈতিক নেতাদেরই প্রার্থী করে নামানো হবে ময়দানে, তা স্থির করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বিজেপির একটা পক্ষ চাইছে, তারকা প্রার্থী করে পুরসভা ভোটে তৃণমূলকে মাত দিতে। আর একটা পক্ষ চাইছে ২০২১ বিধানসভা ভোটের দিকে চেয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরই প্রার্থী করতে। এখন তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। বিজেপির নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং নির্বাচন কমিটির প্রধান মুকুল রায়কেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রির একদল তারকা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সম্প্রতি। রাজনৈতিক মহল তখনই মনে করেছিল, তাঁদের আসন্ন পুরভোটে প্রার্থী করা হতে পারে। সেই ধারণা যে একেবারেই অমূলক নয়, তা বোঝা গেল এতদিনে। বিজেপিতে এখন মতানৈক্য শুরু হয়েছে, কাদের প্রার্থী করা হবে পুরভোটে, তা নিয়ে।
এক শ্রেণির পরিকল্পনা অভিনেতা-অভিনেত্রী, খেলোয়াড়, সঙ্গীতশিল্পীদের বিধানসভা ভোটে টিকিট দেওয়া, তারকা প্রার্থীদের এনে চমক দেওয়াই বিজেপির একাংশের লক্ষ্য। বিজেপির এই কৌশলকে অবশ্য আমল দিচ্ছেন না মুকুল রায়। তিনি চাইছেন হেভিওয়েট নেতাদের প্রার্থী করতে। বড় নাম পুরভোটে এনে তিনি চমকে দিতে চান।
ঠিক এমনটাই তিনি তৃণমূলের পক্ষেও করেছিলেন। ২০১০ সালে তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মতো হেভওয়েটদের প্রার্থী করা হয়েছিল। বিজেপিতেও তিনি সেই স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করতে চান। কিন্তু দলের একাংশ তাতে নারাজ। দ্বিমত তৈরি হয়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে।
গেরুয়া শিবিরের ওই অংশের ধারণা, রাজনৈতিক নেতাদের তুলনায় রুপোলি পর্দার তারকা অঞ্জনা বসু, কাঞ্চনা মৈত্র, রূপাঞ্জনা, মিত্র, রূপা ভট্টাচার্য, সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়, রিমঝিম মিত্র থেকে শুরু করে পার্নো মিত্র, ঋষি কৌশিকের মতো খ্যাতনামাদের নামালে ভোটে জেতা অনেক সহজ হবে। পুরভোটে রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মুখের থেকে তারকা মুখই শ্রেয় হবে বলে তাঁদের দাবি।
সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ৫৮ ছাত্রকে নোটিশ পাঠাচ্ছে যোগী সরকার