মুকুল, কৈলাশের উপস্থিতিতে স্ট্র্যাটেজি 'বদল' বিজেপির! ২১-এর আগে নয়া পরিকল্পনা
মুকুল, কৈলাশের উপস্থিতিতে স্ট্র্যাটেজি 'বদল' বিজেপির! ২১-এর আগে নয়া পরিকল্পনা
করোনা পরিস্থিতিতে এবারের নির্বাচনে রাজ্যে প্রায় ১ লক্ষ বুথে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন (election commission)। বর্তমান পরিস্থিতিতে একমাত্র তৃণমূলকে (trinamool congress) বাদ দিয়ে প্রতি বুথে ৫ জন করে কর্মী দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দলীয় বৈঠকে জেলায় জেলায় বুথ ভিত্তিক সংগঠন ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি (bjp)।
ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট কমিটির বৈঠক
হেস্টিংসে বিজেপির পার্টি অফিসে রাজ্য নেতৃত্বের বৈঠকে উপস্থিত সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ এবং স্বরাষ্টমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুকুল রায়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের মতো নেতারা। বৈঠকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যার পাশাপাশি ভোটার তালিকায় ভুয়ো নাম নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় ভোটের স্ট্র্যাটেজি কী হবে, তাতে কোনও পরিবর্তন আনা হবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা হয়।
কলকাতা সাংগঠনিক জেলার বৈঠক
কলকাতার সাংগঠনিক বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন মুকুল রায়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তবে এই বৈঠকে হাজির ছিলেন কলকাতা সাংগঠনিক জেলার পর্যবেক্ষক শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং কো-কনভেনর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, এই সপ্তাহের মধ্যেই কলকাতার সাংগঠনিক জোনের কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন অমিত শাহের বিশেষ আস্থাভাজন উত্তরপ্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সংগঠন সুনীল বনশল। তাঁকেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে কলকাতা জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে এই বৈঠকে সুনীল বনশলের সঙ্গে থাকতে পারেন গজেন্দ্র শেখাওয়াতও।
স্ট্র্যাটেজি 'বদল' বিজেপির
বিজেপির গঠন প্রক্রিয়া অনুযায়ী, কলকাতা মণ্ডলে ৫১ টি আসন রয়েছে। কাজের সুবিধার জন্য এই মণ্ডলকে ছটি জেলায় ভাগ করা হয়েছে। এই ছটি জেলায় জেলা কমিটির সঙ্গে আট সদস্যের কোর কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এই কোর কমিটিতে জেলা সভাপতি, পর্যবেক্ষক ছাড়াও তিন সাধারণ সম্পাদককে রাখা হয়েছে। এই কোর কমিটিতে রাখা হচ্ছে জেলার প্রাক্তন সভাপতিদেরও। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়াতেই এই পদক্ষেপ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই কোর কমিটির সঙ্গে কথা বলেই নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বুথ কমিটি তৈরির নির্দেশ জানুয়ারিতেই
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই জানুয়ারির মধ্যেই কলকাতা মণ্ডলের প্রায় ১৪ হাজার বুথ কমিটি তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেননা ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে কলকাতা মণ্ডলে বিজেপির ফল মোটেও ভাল নয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩১ টি আসনের মধ্যে সবকটিতে এগিয়ে তৃণমূল। কলকাতার ১১টির মধ্যে ৮ টিতে এগিয়ে তৃণমূল। পাশাপাশি ফেব্রুয়ারিতে প্রত্যেক বিধানসভাতেই যাতে রথযাত্রা পৌঁছে যায়, সেই ব্যবস্থা করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে শুরু হতে চলেছে রথযাত্রা। রাজ্যে তাদের পাঁচটি জোন থেকে ৫ টি রথ বের করার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির।
'চাণক্য’ শাহের 'চন্দ্রগুপ্ত’ হতে চাইছেন শুভেন্দু! সতীশ সামন্তের ভাবশিষ্য অন্য পথে