তৃণমূল-বিজেপির জোর টক্কর দুই জেলায়, পঞ্চায়েত ফলেই বেজে গেল লোকসভার দামামা
রাজ্যে দ্বিতীয় দল হিসেবে উঠে আসা যখন কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে বিজেপির। বিজেপি ২০ জেলার মধ্যে তৃণমূলকে সবথেকে বেশি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায়।
তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল জয়ের মাঝে রাজ্যে দ্বিতীয় দল হিসেবে উঠে আসা যখন কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে বিজেপির। বিজেপি ২০ জেলার মধ্যে তৃণমূলকে সবথেকে বেশি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায়। এছাড়া উত্তরবঙ্গে বিজেপি দারুন লড়াই দিয়েছে। প্রায় প্রতিটি জেলায় দ্বিতীয় দল বিজেপিই।
ঝাড়গ্রাম ২২০টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। আর তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপি জিতেছে ১৬৪টি আসনে। সেখানে সিপিএম কংগ্রেস পড়ে রয়েছে ৩০-এর নিচে। ঝাড়গ্রামের প্রতিবেশী জেলা পুরুলিয়াতেও কাঁটে কা টক্কর বিজেপির। এখন পর্যন্ত ঘোষিত আসেন মধ্যে ৩০২টি আসন পেয়েছে তৃণমূল, বিজেপি পেয়েছে ২৭৬টি।
বাঁকুড়ার মতো তৃণমূল গড়েও থাবা বসিয়েছে বিজেপি। পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। যে জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলা পরিষদ হেরেছিল বিজেপি, সেখানে গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে ভবিষ্যতে কড়া লড়াইয়ের বার্তা দিল পদ্মশিবির। এমনকী এবার বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের গড়েও খাতা খুলতে সমর্থ হয়েছে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: যে ফল আসছে তা আসল নয়! পঞ্চায়েতের ফল নিয়ে আর যা বললেন দিলীপ ঘোষ]
এবার বাঁকুড়ার আদিবাসী অধ্যুষিত পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে হারিয়ে দিয়েছে বিজেপি। এই জেলার পুড্ডি, সারেঙ্গা, মানকালী, বিক্রমপুর ও সিমলাপাল গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিয়ে নিয়েছে বিজেপি। বিজেপির এই জয়ের দিনে সিপিএম অবশ্য প্রায় হাওয়া। তৃণমূলের বিপুল জয়ের দিনে যেটুকু অস্তিত্ব চোখে পড়েছে তা বিজেপিরই।