বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে তোলপাড়! দিলীপের প্রশ্নবাণ,আইনি পথে হাঁটার হুমকি সায়ন্তনের, জবাব দিলেন সৌগত
রাজ্যপুলিশ জানিয়েছে বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানের মধ্যে থেকেই কার্যত গুলি এসে লেগেছিল মৃত বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের গায়ে। এদিকে, রাজ্য পুলিশের এই দাবি কার্যত নস্যাৎ করে দিয়ে সরব হয়েছেন বাংলার বিজেপির একের পর এক নেতা। যার জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের সৌগত রায়।
দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন
রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন, উত্তরকন্যা অভিযানে যদি পুলিশ গুলি না চালিয়ে থাকে, তাহলে কে চালিয়েছে গুলি? তাঁর প্রশ্ন , এই গুলি পুলিশের উর্দিধারী কোনও তৃণমূলের সমর্থক করেননি তো? দিলীপ ঘোষের দাবি, উলেন রায় ছাড়াও অভিযানে আরও ১০ জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। তাহলে তাঁরা কীভাবে আহত হন, যদি এই গুলি পুলিশ না চালায় তো?
সায়ন্তনের চাঁচাছোলা দাবি,'মৃত্যুকে করোনাতে মৃত্যু বলেও পুলিশ চালাতে পারত '
এদিকে, বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু এদিন উত্তরবঙ্গে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধে সামিল হয়েছেন। তিনি সেই কর্মসূচি থেকে সাফ জানিয়েছেন, যদি পুলিশ এই ঘটনার নেপথ্যে না থাকে, তাহলে কেন প্রয়াত বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের বাড়িতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে? বিজেপির দাবি, পুলিশই সেদিন বিজেপি কর্মীদের সামনে ডেকে নিয়ে ব্যারিকেড ভাঙার ইন্ধন দেয়। এরপরেই এই ঘটনা। সায়ন্তন বসুর দাবি, তাঁরা 'প্রয়োজনে এই বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাবেন।' তাঁর দাবি, যদি সেই রাতে ময়না তদন্তের রিপোর্ট বিজেপি নেতারা হাতে না পেতেন , তাহলে মৃত্যুকে করোনাতে মৃত্যু বলেও পুলিশ চালাতে পারত বলে দাবি করেন সায়ন্তন বসু।
'আদালতে গেলে যাক'
এদিকে সায়ন্তন বসুদের এই দাবিকে কার্যত মান্যতা দিতেই নারাজ তৃণমূল। তৃণমূলের তরফে সৌগত রায় বলেন, 'আদালতে গেলে যাক'। তৃণমূল সাংসদের দাবি, পুলিশ শটগান ব্যবহার করে না। তাহলে বিজেপির অন্দর থেকেই এই বন্দুক মিছিলে ঢোকে। সেখান থেকেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যায় বলে দাবি করেছেন তিনি।
উত্তরবঙ্গ জুড়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি
এদিকে, বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের মৃ্ত্যু ঘিরে এদিন উত্তরবঙ্গে ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকা হয়েছে। বনধে উত্তরবঙ্গ জুড়ে সকাল থেকেই একাধিক উত্তেজক ঘটনা ঘটে। মালদায় বন্ধ করা হয় ডাকঘর। বৈষ্ণবনগরের বিধায়ক স্বাধীন সরকারকে বিক্ষোভ দেখানোর জেরে আটক করা হয়।