বিজেপির নয়া পরিকল্পনা মিশন একুশে, সংখ্যালঘু ভোট আর দক্ষিণবঙ্গই এখন পাখির চোখ
বিজেপির নয়া পরিকল্পনা মিশন একুশে, সংখ্যালঘু ভোট আর দক্ষিণবঙ্গই এখন পাখির চোখ
মিশন একুশে এখন লক্ষ্য বদল করল বিজেপি। তৃণমূলকে হারিয়ে বাংলায় মসনদ দখল করতে বিজেপি এবার পাখির চোখ করেছে দক্ষিণবঙ্গকে। সেইসঙ্গে সংখ্যালঘু ভোটও তাঁদের নজরে। বিজেপি যেহেতু জঙ্গলমহল ছাড়া দক্ষিণবঙ্গের বাকি অংশে শক্তিশালী নয়, অন্য অঙ্ক কষেই তাঁরা রাজনৈতিক ময়দানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ফায়দা লুঠতে চাইছে।
দক্ষিণবঙ্গে বিজেপির আলাদা অঙ্ক
দিল্লির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, বিজেপিকে এবার একেবারে অঙ্ক কষে এগোতে হবে। ২০১৯-এর লোকসভা দেখিয়েছে উত্তরবঙ্গে বিজেপি অনেক শক্তিশালী। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের শুধু জঙ্গলমহল বাদ দিয়ে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি খুবই কম। শুধু দক্ষিণবঙ্গেই তৃণমূল মাত দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে বিজেপিতে। তাই তৃণমূলকে আটকাতে গেলে সংগঠন বাড়াতে হবে।
সংখ্যালঘু ভোট কেটে পঙ্গু করে দিতে হবে
বিজেপির আর একটা মাইনাস পয়েন্ট হয় সংখ্যালঘু ভোট। সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূলকে বিশাল মাইলেজ দিয়ে দিচ্ছে বাংলার প্রতিটি নির্বাচনেই। সেখানে ভাঙন ধরাতে হবে। এই দুটি কাজ সঠিকভাবে করতে পারলে তৃণমূলকে বিধানসভাতেও মাত দেওয়া যেতে পারে। আপাতত বৈঠক থেকে এই সারবস্তুই উঠে এসেছে বিজেপির।
বিজেপির অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, বৈঠকে রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র ধরে ধরে আলোচনা হয়েছে। কোন কেন্দ্রে কী দুর্বলতা তা নিয়ে অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করে ফেলেছে বিজেপি। দেরি না করে অতি সত্ত্বর রাজনৈতিক ময়দানে নেমে পড়বেন দিলীপ ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানি। সবাইকে নিয়ে কাজের বার্তা দেওয়া হয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে।
দক্ষিণবঙ্গে বিজেপি নড়বড়ে তাই
বিজেপি উত্তরবঙ্গে যতটা সক্রিয়, দক্ষিণবঙ্গে ততটাই নড়বড়ে। তা নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উষ্মা প্রকাশ করেন। বিজেপি মনে করে এই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে না পারলে কিন্তু মিশন ২০২১ সফল কষ্টসাধ্য হবে। বৈঠকের শেষ দিনে তাই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় এই দিকটিতে। হাতে সময় কম, এরই মধ্যে সংগঠনে জোর দিতে হবে।
২০২১-এর আগে সাবধানী বিজেপি
সোমবার দিল্লিতে বৈঠকের শেষ দিনে আলোচনা হয় কলকাতা উত্তর, ব্যারাকপুর, বসিরহাট, মথুরাপুর লোকসভা ক্ষেত্রের সাংগঠনিক পরিস্থতি নিয়ে। এ প্রসঙ্গেই হতাশা ব্যক্ত করে বিজেপি। সংগঠনের এই নড়বড়ে অবস্থার প্রভাব ২০২১-এর নির্বাচনে পড়বে বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। তাই এখন থেকেই সাবধানী বিজেপি।
মমতার চমক একুশের আগে, সাত বছর পর কুণাল ঘোষকে দিলেন 'গুরুদায়িত্ব'