বিজেপিতে এখন 'তৃণমূলী'-রাজ! দলত্যাগীরা কে পেলেন কোন পদ, তালিকায় একনজর
বিজেপিতে এখন তৃণমূলী-রাজ! দলত্যাগীরা কে পেলেন কোন পদ, তালিকায় একনজর
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন অনেক হেভিওয়েট। তাঁদের অনেকেই তৃণমূলে এসে সাংসদপদপ্রার্থী হয়েছেন। অনেকেই সাংসদ হয়েছেন। এবার তাঁরাই সাংগঠনিক পদে অভিষিক্ত হলেন। বিজেপির সাংগঠনিক রদবদলে পোয়াবারো দলত্যাগীদের। তৃণমূল-সিপিএম-কংগ্রেস ছেড়ে আসাদেরই ভিড়।
বিজেপিতে গুরুদায়িত্ব দলত্যাগী নেতাদের
রাজনৈতিক মহল মনে করছে ২০২১-এর লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নিল বঙ্গ বিজেপি। বিজেপির রাজ্য কমিটিতে বড়সড় রদবদল ঘটিয়ে উচ্চস্থান দেওয়া হল দলত্যাগীদের। করোনা লকডাউনের মধ্যেই একুশের বিধানসভা বিধানসভা ভোটের ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিল বিজেপি। তৃণমূলত্যাগী নেতারা পেলেন গুরুদায়িত্ব। কংগ্রেস-সিপিএম ত্যাগীরাও মর্যাদা পেলেন।
তৃণমূল ছেড়ে উচ্চপদে বিজেপিতে
মুকুল ঘনিষ্ঠ বিধানগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত বিজেপিতে যোগ দিয়ে পেলেন সম্পাদক পদ। অর্জুন সিং হলেন সহ সভাপতি। আর সৌমিত্র খান হলেন যুব মোর্চার সভাপতি। একুশের বিধানসভার আগে সাংগঠনিক রদবদলে প্রোমোশন হল লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর পদ ছেড়ে হলেন সাধারণ সম্পাদক। উল্লেখ্য, লকেটও একটা সময়ে তৃণমূলে ছিলেন। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ভারতী ঘোষও পেয়েছেন সহ সভাপতির পদ।
সিপিএম-কংগ্রসত্যাগীরাও গুরুত্বপূর্ণ পদে
সিপিএম ছেড়ে আসা মাফুজা খাতুনকে সহ সভাপতি করা হয়েছে বিজেপির। আর এক সিপিএম ত্যাগী নেতা খগেন মুর্মুকে করা হয়েছে এসটি মোর্চার সভাপতি। আর এসসি মোর্চার সভাপতি করা হয়েছে কংগ্রেস ছেড়ে আসা দুলাল বরকে।
মুকুল-দিলীপঘনিষ্ঠরা কমিটিতে
কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব মিলে সমন্বয়ের ভিত্তিতে এই কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কমিটিতে দিলীপ গোষ্ঠী, মুকুল গোষ্ঠী ও রাহুল গোষ্ঠীর নেতাদের রাখা হয়েছে। এই সমন্বয়ের লক্ষ্য একটাই ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন। এই কমিটি নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বে একুশের লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করবে।
ডিমোশন হল প্রতাপ ও চন্দ্রর
ডিমোশন হয়েছে প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় দুজনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। আর সহ সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে নেতাজির প্রৌত্র চন্দ্র বসুকে। চন্দ্র বসুকে দীর্ঘদিন ধরেই সমালোচনা করে আসছিল বঙ্গ বিজেপির।
ক্রমেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, এরই মধ্যে ঘোষণা হল রাজ্যসভার ১৮ আসনের নির্বাচনের দিনক্ষণ