শোভনকে আরও কোণঠাসা করে দিল বিজেপি! মত বদলে গুরুদায়িত্ব সব্যসাচী দত্তকে
শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বিতর্ক আর পিছু ছাড়ছে না। দক্ষিণ কলকাতায় গান্ধী সংকল্প যাত্রার দায়িত্ব দেওয়ার কথা ছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। কিন্তু হঠাৎই মত বদল।
শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বিতর্ক আর পিছু ছাড়ছে না। দক্ষিণ কলকাতায় গান্ধী সংকল্প যাত্রার দায়িত্ব দেওয়ার কথা ছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। কিন্তু হঠাৎই মত বদল। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ব্রাত্য করে আর এক প্রাক্তন তৃণমূলী সব্যসাচী দত্তকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হল। তৃণমূল সুপ্রিমোর খাসতালুকে বিজেপির তুরুপের তাস হবেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র।
শোভনকে সিদ্ধান্ত বদল
কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দলে নেওয়ার পর তাঁকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি গান্ধী সংকল্প যাত্রায় দক্ষিণ কলকাতার দায়িত্বও তাঁকে দেওয়া চূড়ান্ত ছিল। কিন্তু শোভনকে নিয়ে নিত্যদিন বিতর্কের পর বিজেপি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে।
শোভনের বদলি সব্যসাচী
তারপর তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন সব্যসাচী। তিনি বিধাননগরের মেয়র ছিলেন, বিধায়কও। হেভিওয়েট নেতা হিসেবে তাঁর পরিচিতিও বেশ। তাই শোভন যখন বিতর্কিত হয়ে উঠছেন, তখন সব্যসাচীই শ্রেয় বলে মনে করছে রাজ্য বিজেপি। তাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে মমতার খাসতালুকে সংকল্প যাত্রা করার।
কেন হঠাৎ মত বদল বিজেপির
কিন্তু কেন হঠাৎ মত বদল বিজেপির? তবে কি বৈশাখীর ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে না পারাতেই শোভনের উপর আর ভরসা রাখতে পারছে না বিজেপি। তাই শোভনকে দায়িত্ব না দিয়ে তাঁরই এতদিনের সতীর্থ সব্যসাচীকে দায়িত্ব দিচ্ছে বিজেপি? মোট কথা তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূল দিয়ে কাঁটা তুলতেই এই উদ্যোগ বঙ্গ বিজেপির।
প্রশ্ন উঠছে শোভনের ভূমিকা নিয়ে
এদিকে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বিজেপিতে। শোভন বিজেপিতে যোগ দিলেও কোনও কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না। তিনি ব্রাত্য থাকছেন, নতুবা ডাক পেলেও তিনি নিজেকে সরিয়ে রাখছেন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে শোভনের ভূমিকা নিয়ে। বিজেপির রাজ্য নেতৃ্ত্বকেও অস্বস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে।
শোভন ফিরলে্ই কথা হবে
এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও। তিনি বলেন, শোভনদা এখন বাইরে আছেন, তিনি ফিরলেই আমরা কথা বলব বিষয়টি নিয়ে। তিনি কেনও বিজেপির কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন না। মিটিং মিছিলে যাচ্ছেন না, জানতে চাইবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সংকল্প যাত্রায় পরিকল্পনায় বদল
বিজেপির এই সংকল্প যাত্রা হওয়ার কথা ছিল ২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্তু পরে তা কমিয়ে ১৫ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়। প্রত্যেক লোকসভা কেন্দ্রে ১৫০ কিলোমিটার পদযাত্রা করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। ১০ দিনে মোট সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার পদযাত্রা করবেন বিজেপি নেতারা।
দায়িত্ব কী, বোঝালেন দিলীপ
দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, এই পদযাত্রায় বিজেপির ১৮ জন লোকসভা সাংসদ ও দুজন রাজ্যসভা সাংসদ অংশগ্রহণ করবেন। যে এলাকায় বিজেপির সাংসদ নেই, সেখানে বিপক্ষ শিবির থেকে আসা নেতাকে সামনে রেখে পদযাত্রা করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি।
[ ২০২০ লক্ষ্যে ঝাঁপাতে তৈরি 'টিম' পিকে! মমতা বসছেন জরুরি বৈঠকে]