মুকুলের মাস্টারস্ট্রোক! লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের দীপার কাছে বিরাট ‘প্রস্তাব’ বিজেপির
রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসের হাতছাড়া হতেই মুকুল রায় যে আসরে নেমেছিলেন কংগ্রেসের হেভিওয়েটদের হাতে পেতে, তা প্রমাণিত হয়ে গেল সোমবার।
রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসের হাতছাড়া হতেই মুকুল রায় যে আসরে নেমেছিলেন কংগ্রেসের হেভিওয়েটদের হাতে পেতে, তা প্রমাণিত হয়ে গেল সোমবার। এদিন দিল্লিতে বিজেপির সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রিয়-জায়া দীপা দাশমুন্সি। কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদকে রায়গঞ্জে প্রার্থী করার প্রস্তাব দিল বিজেপি। ভালো ফল হলে মিলবে কেন্দ্রীয়মন্ত্রিত্বও, লোভনীয় অফার মুকুল রায়দের।
কদিন আগেই রটেছিল প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বাড়িতে নৈশভোজে যাচ্ছেন মুকুল রায়। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল দীপা দাশমুন্সিরও। রবিবার এই ঘটনাকে নিছকই রটনা বলে উড়িয়ে দিয়ে অধীর চৌধুরী তোপ দেগেছিলেন তৃণমূলকে। এটা তৃণমূলের গাঁজাখোরি গল্প বলে উড়িয়ে দেন তিনি।
কিন্তু তা যে একেবারে গাঁজাখোরি ছিল না, তা দীপা দাশমুন্সির গতিবিধি স্পষ্ট করে দিল। এদিন দিল্লিতে কংগ্রেসের রাকেশ সিং ও তৃণমূলের আইটি সেলের দুই নেতা যোগ দেন বিজেপিতে। সেই যোগদান পর্বের শেষে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় দাবি করেন, মঙ্গলবার বাংলার আরও নেতা যোগ দেবেন বিজেপিতে।
তারপরই শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়। এরই মধ্যে এদিন পুর অধিবেশনে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি জল্পনার পারদ আরও বাড়িয়ে দেয়। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, শোভন চট্টোপাধ্যায় আউট অফ কলকাতা থাকার জন্যই আসেননি অধিবেশনে। তখনই তাঁকে নিয়ে জল্পনা বাড়়তে থাকে। তবে কি বিজেপিতে যোগ দিতে দিল্লিতে গিয়েছেন শোভন?
তারপরই সন্ধ্যায় দীপা দাশমুন্সির সঙ্গে বিজেপি নেতাদের বৈঠক, অন্য জল্পনার অবতারণা করল। বিজেপির ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননের বাড়িতে এই বৈঠকে হাজির ছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় প্রমুখ।