বিজেপির শ্যেন দৃষ্টি তৃণমূল কাউন্সিলরদের উপর! পুরভোট জি্ততে সাজানো রয়েছে ঘূঁটি
বিজেপি টোপ দিয়ে রেখেছে তৃণমূল কাউন্সিলরদের! পুরভোট জি্ততে শ্যেন দৃষ্টিতে অপেক্ষায়
বিজেপির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধদের স্বাগত জানানোর। এমনকী আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে যদি কোনও তৃণমূল কাউন্সিলর টিকিট পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন, তাঁরা বিজেপিতে যোগদান করলে তাঁদের প্রার্থী করার কথা ভাববে গেরুয়া শিবির। সম্প্রতি এক বৈঠকে দলছুটদের টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে।
যদি সম্ভাব্য বিজয়ী হিসাবে কাউকে পাওয়া যায়
বিজেপি সাফ জানিয়েছে, যদি সম্ভাব্য বিজয়ী হিসাবে কাউকে পাওয়া যায়, তবে গেরুয়া শিবির তাঁকে প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করবে। পুরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তৃণমূল প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করার পরে বিক্ষুব্ধদের জন্য বিজেপি নির্দিষ্ট টার্গেট বেঁধেই রাখছে। প্রয়োজন পড়লেই তাঁদের পাওয়ার জন্য ঝাঁপাবে তারা।
টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভ কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর
শাসকদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভ কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর বিজেপি। সিটিং কাউন্সিলর হলে তো কথাই নেই। তাদের এবার নির্বাচনী যুদ্ধের ময়দান নামিয়ে দেওয়া হবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কারণ বিজেপি জানে, একবার টিকিট প্রত্যাখ্যান হওয়ার পরে, তাদের বাংলার রাজনৈতিক রণক্ষেত্রে টিকে থাকতে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প থাকবে না।
সংগঠন দুর্বল, সু-কৌশলেই জেতাই লক্ষ্য
বিজেপি স্কীকার করে নিচ্ছে, কলকাতায় আমাদের দলের সাংগঠনিক শক্তি তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো নয়। তবু এই লড়াই আমরা জিততে পারি। সু-কৌশলেই আমাদের জিততে হবে। তৃণমূলের ক্ষোভ তৃণমূলের বিরুদ্ধেই প্রয়োগ করতে হবে। তৃণমূলের বিক্ষোভ যদি কাজে লাগাতে পারি, লোকসভার মতো এবারও জিতবে আমরা।
পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী নিয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত
রবিবার এক বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির নেতারা। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে পুরসভা নির্বাচনে কোন স্তর থেকে কত শতাংশ প্রার্থী করা হবে। মোট প্রার্থীর ১৫ শতাংশ প্রার্থী করা হয়েছে অন্য দল থেকে আসা প্রার্থীরা। ১৫ শতাংশ প্রার্থী করা হবে সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের। আর বাকি ৭০ শতাংশ প্রার্থী করা হবে দলের পুরনোদের মধ্য থেকে।
প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করাল কংগ্রেস! রাজ্যসভা নির্বাচনে বিহারে বিরোধী জোটে ভাঙন নিয়ে জল্পনা