এগিয়ে আসছে লোকসভা ভোট! রাজ্যে ৪২-এর রণকৌশল চূড়ান্ত করে ফেলল বিজেপি
পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন ২০১৯। রাজ্যে কোমর বেঁধে নেমে পড়ল বিজেপি। শুরু হয়ে গেল প্রস্তুতি। প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে পৃথক পৃথক রণকৌশল চূড়ান্ত করতে শনিবার বৈঠকে বসেছিল বিজেপি নেতৃত্ব।
পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন ২০১৯। রাজ্যে কোমর বেঁধে নেমে পড়ল বিজেপি। শুরু হয়ে গেল প্রস্তুতি। প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে পৃথক পৃথক রণকৌশল চূড়ান্ত করতে শনিবার বৈঠকে বসেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। এই বৈঠকে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি ছিলেন ৪২টি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারাও। মোদী-শাহদের দেওয়া নির্দেশ মতো কৌশল চূড়ান্ত করলেন দিলীপ-মুকুলরা।
এই সপ্তাহেই দিল্লিতে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ-রা। সেই বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত মতোই টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসার সম্ভাবনা প্রবল। তারই জেরে বিজেপির তৎপরতা শুরু হয়েছে এখন থেকেই।
ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ভোট-অন্তর্বতী বাজেট পেশ করবেন। রাজ্যে বেজে যাবে ভোট-দামামা। মার্চ-এপ্রিল মাস নাগাদ ভোট হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেই হিসেব ধরেই এগোচ্ছে রাজ্য বিজেপি। সেইসঙ্গে ডিসেম্বরেই রাজ্যে রথযাত্রা শুরু হচ্ছে। সেই রথযাত্রা শেষ হবে ব্রিগেডে মোদীর সভায়। শনিবারের বৈঠকে ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়েও আলোচনা হয় বলে বিশেশ সূত্রে জানা গিয়েছে। সেইসঙ্গে বিজেপি চাইছে জনসংযোগে জোর দিতে।
[আরও পড়ুন:লোকসভার আগে ভাঙছে বিজেপি! নতুন দল গড়লেন হরিয়ানার দাপুটে সাংসদ ]
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নানা সামাজিক প্রকল্প নিয়েছেন দেশে। সেই প্রকল্পগুলির প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজেপি কেন্দ্র ধরে ধরে জনসংযোগে নামবে সেইমতো। তা নিয়েও বিশদ আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। বিজেপি লোকসভায় ২২টি আসন টার্গেট করেছে। যত বেশি আসন দখল করতে পারবে, ২০২১-এর আগে তেমনই বার্তা দিতে পারবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে।
[আরও পড়ুন:বিমস্টেক সামিটের শেষ দিনে সাক্ষরিত হয়েছে কাঠমান্ডু ডিক্লেরেশন, কী আছে এই ঘোষণাপত্রে]
এখন থেকেই প্রচার পরিকল্পনা প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে। শুরু করা হবে প্রচারও। আর পুজোর পর জোর কদমে নামা হবে প্রচারে। রাজ্যে। রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে জনসভা করা হবে জেলায় জেলায়। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ কৌশল চূড়ান্ত করে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে সভা করতে হবে। তবে সময় অভাবে ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে জনসভা না করা গেলেও ২০০ থেকে ২৫০টি সভা করার টার্গেট রাখা হয়েছে।
[আরও পড়ুন:দিদি কি চাইছেন পঞ্চায়েত সদস্যরা যান গেরুয়া শিবিরে! দলীয় নেত্রীর প্রশ্নে শোরগোল]