মুকুলের গুরুত্ববৃদ্ধি আর রাহুলের অপসারণ, লাভ-ক্ষতির অঙ্ক কষা চলছে কোচবিহারের দলবদলে
মুকুলের গুরুত্ববৃদ্ধি আর রাহুলের অপসারণ, লাভ-ক্ষতির অঙ্ক কোচবিহারের দলবদলে
সম্প্রতি রাজ্য বিজেপিতে এক বদল এসেছে। তিন বছর পর পদপ্রাপ্তি ঘটেছে মুকুল রায়ের। আর একইসঙ্গে রাহুল সিনহাকে পদ হারাতে হয়েছে। এর ফলে রাজ্য বিজেপিতে ভালো ও খারাপ প্রভাব পড়েছে। এর ফলে কতখানি ক্ষতি হল বিজেপির নাকি তাঁদের লাভ হবে এই নয়া সিদ্ধান্তে, সেই অঙ্ক বুঝিয়ে দিল কোচবিহারের সাম্প্রতিক দলবদল।
মুকুল-রাহুলের ভূমিকায় দুই বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া
এই কোচবিহারেই ২০১৯-এ এক দলবদল সামগ্রিক চিত্রকে পরিবর্তন করে দিয়েছিল। নিশীথ প্রামাণিক মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। তারপর তিনিই লোকসভা ভোটে জিতে হয়েছিলেন সাংসদ। এবার কোচবিহারে দু-রকম প্রভাবই পড়ল। রাহুলের অপসারণ আর মুকুলের গুরুত্ববৃদ্ধিতে দুই বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া দেখা দিল কোচবিহারে।
রাহুল পদ হারানোয় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান
রাহুল সিনহা বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ থেকে অপসৃত হওয়ার পর ক্ষোভ উগরে দিয়ে কোচবিহারে দল ছেড়েছিলেন শতাধিক বিজেপি কর্মী। রাহুল সিনহার পদ কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদে তাঁরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। এই যোগদানে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি জানিয়েছিলেন, আরও অনেকে লাইনে রয়েছেন।
মুকুলের গুরুত্ববৃদ্ধিতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ
তারপর মুকুল রায়ের গুরুত্ববৃদ্ধিতে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূলে ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের ঘটনাও ঘটল। সম্প্রতি শতাধিক কর্মী বিজেপি শিবিরে নাম লেখালেন। কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপিতে এলেন কর্মীরা। তাঁরা তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে মোদীর স্তূতি করলেন।
মুকুল বনাম রাহুল, লাভ-ক্ষতির অঙ্ক শূন্য
রাজনৈতিক মহলের দাবি, মুকুল রায় বিজেপিতে গুরুত্বের আসনে বসার পর বিজেপিতে যোগদানের প্রবণতা বেড়েছে বাংলায়। তৃণমূল ছেড়ে অনেকেই বিজেপিতে যাচ্ছেন বলে দাবি একাংশের। আবার উল্টোটাও ঘটছে। ৪০ বছর দলের একনিষ্ঠ নেতা রাহুল সিনহাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া মানতে না পেরে বীতশ্রদ্ধ হয়ে দল ছাড়ছেন অনেকে।
বিজে্পির আদিনেতারা মনোক্ষুন্ন নয়া ভূমিকায়
অর্থাৎ মুকুলের গুরুত্ববৃদ্ধি ও রাহুলের অপসারণে এখনও পর্যন্ত খুব বড় লাভ বা ক্ষতি হয়নি। মুকুলের গুরুত্ববৃদ্ধিতে যেমন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসছেন অনেকে, তেমনই রাহুলের পদ কেড়ে নেওয়ায় আদি নেতা-কর্মীরা বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ছেন বিজেপিতে। তাঁদের মধ্যে প্রতিবাদী হয়ে উঠছেন অনেকে অনেকে প্রতিবাদে দলও ছাড়ছেন।
মমতার রাজ্যেও যোগী রাজ্যের মতো ঘটনা! সাংসদ, বিধায়কের নাম তুলে একের পর এক ঘটনায় আক্রমণ সেলিমের