বিজেপিতে ‘সভাপতি’ বাছাই করতে গিয়ে বিবাদ চরমে, পণ্ড হয়ে গেল নির্বাচনই
লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর ছ-মাস কাটতে না কাটতেই উপ নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছে বিজেপিকে। এই আঙ্গিকে লক্ষ্যণীয় লোকসভা ভোটের পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় সাংগঠনিক নির্বাচনে প্রকাশ্যে চলে এসেছে গোষ্ঠীদ্বন
লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য-রাজনীতিতে উত্থান হয়েছিল বিজেপির। এক লাফে দুই থেকে বেড়ে ১৮ সাংসদ পেয়েছিল বিজেপি। এই বিপুল জয়ের পর ছ-মাস কাটতে না কাটতেই উপ নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছে বিজেপিকে। এই আঙ্গিকে লক্ষ্যণীয় লোকসভা ভোটের পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় সাংগঠনিক নির্বাচনে প্রকাশ্যে চলে এসেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
বিজেপিতে তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে
রাজ্যে ১৮টি লোকসভা আসনে জেতার পর বাড়তি অক্সিজেন নিয়ে বাংলায় পরিবর্তনের আওয়াজ তুলেছিল বিজেপি। উৎসাহ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সাংগঠনিক নির্বাচন করতে। সাংগঠনিক নির্বাচন পর্বে পদে পদে বাধা পেতে হয়েছে তাঁদের। কোথাও তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে, কোথাও আবার সদস্যই মিলছে না।
মণ্ডল সভাপতি বাছাইয়ে বাধা
বিজেপি হিমশিম খাচ্ছে মণ্ডলস্তরে সভাপতি নির্বাচন করতে গিয়ে। অন্তর্কোন্দলে গোলমাল, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। রাজ্য নেতৃত্ব শৃঙ্খলাভঙ্গের বিরুদ্ধে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবস্থাও নিচ্ছে। কলকাতা ও শহরতলিতে যথেষ্ট সদস্য সংগ্রহ না হওয়ায় মণ্ডল সভাপতি বাছাই পর্যন্ত পৌঁছতেও পারেনি।
সহমতের ভিত্তিতে সভাপতি
এখন প্রশ্ন উঠছে, সংগঠনের এই হাল নিয়ে আগামী পুরসভা ও বিধানসভা ভোটে শক্তিধর প্রতিপক্ষ তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করা কি সম্ভব হবে। বিজেপি নেতৃত্ব এই বিতর্ক সামাল দেওয়ার জন্য বলছে, একাধিক প্যানেলের ভোটাভুটি নয়, সহমতের ভিত্তিতে কাউকে সভাপতি হিসেবে বেছে নেওয়া হবে সভাপতি।
গোলমালই প্রমাণ করছে বিজেপি বাড়ছে
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, দল বাড়লে এ ধরনের গোলমাল হওয়াটাই স্বাভাবিক। এই গোলমালই প্রমাণ করছে বিজেপি বাড়ছে। এটা বিরাট কোনও চিন্তার বিষয় নয়। অশান্তি হচ্ছে ঠিকই, তবে তা নিয়ন্ত্রণেই আছে। তিনি বলেন, কলকাতা ও শহরতলিতে নতুন করে সদস্য সংগ্রহ অভিযান হবে।
বিবেকানন্দ রোডে ভয়াবহ আগুন, দমকলের ২০টি ইঞ্জিন আয়ত্তে আনল পরিস্থিতি