সিএএ-লাভ তুলে নিয়েছে, পুরভোটে আর ‘হাইলাইট’ নয়! এবার নয়া ‘গেম’ বিজেপির
সিএএ-লাভ তুলে নিয়েছে বিজেপি, পুরভোটে আর ‘হাইলাইট’ নয়! এবার নয়া ‘গেম’
আসন্ন পুরনির্বাচনের ইশতেহার প্রকাশের আগে কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে সমীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। তারা বুঝতে চাইছে, মানুষ কী চাইছেন। নাগরিকরা কি সমর্থন করছেন নাগরিকত্ব সংশোধন আইন এবং কেন্দ্রের প্রস্তাবিত জাতীয় নাগরিক নিবন্ধক বা এনআরসিকে! সেই বুঝেই নির্বাচন পরিচালন করার সিদ্ধান্ত নেবে গেরুয়া শিবির।
সিএএ-এনআরসি হাইলাইট নয়
এখন পর্যন্ত যা সিদ্ধান্ত তাতে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন এবং কেন্দ্রের প্রস্তাবিত জাতীয় নাগরিক নিবন্ধক বা এনআরসিকে হাইলাইট না করাই শ্রেয় বলে মনে করছে বিজেপি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের ব্যর্থতা তুলে ধরেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করবে তারা। যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেসের পুরবোর্ড, সেই সমস্ত দিকগুলিই তুলে ধরা হবে প্রচারে।
ওয়ার্ডভিত্তিক সমীক্ষা বঙ্গ বিজেপির
বঙ্গ বিজেপি তাই জনগণের চাওয়া-পাওয়া অনুধাবন করতে ওয়ার্ডভিত্তিক সমীক্ষা শুরু করেছে। কলকাতা পুরনিগমের ১৪৪টি ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে মানুষের মতবিনিময় করছে বিজেপি নেতারা এবং যে সমস্ত সমস্যা বেশি জর্জরিত করেছে নাগরিক সমাজকে, তা শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিজেপির কথায়, আমরা আমাদের প্রচারে জনগণের ইস্যুগুলিই তুলে ধরব।
সিএএ-লাভ বিজেপি তুলে নিয়েছে
বিজেপি মনে করছে, নাগরিকত্ব সংশোধন আইন প্রণয়ন হয়ে গিয়েছে। তা থেকে যেটুকু রাজনৈতিক লাভ তোলার তা তুলে নিয়েছে বিজেপি। কলকাতা পুরসভার নির্বাচনী প্রচারে এ ব্যাপারে একটি শব্দও না বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। আমরা জনগণকে স্মরণ করিয়ে দেব যে ক্ষমতাসীন দল কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আর কী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পেরেছে।
তৃণমূলের ব্যর্থতা বিজেপির ইস্যু
বিজেপির দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস ব্যর্থ হয়েছে পুর-উন্নয়নে। প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। বোর্ড গঠনের জন্য নির্বাচিত হলে, তাদের যে পরিকল্পনা করছে তাও ইশতেহারে বিশদে জানাবে বিজেপি। বিজেপি কাউকে মেয়র পদপ্রার্থী করে এবার নির্বাচনে লড়বে না। বিজেপি জিতলে পুরসভার মেয়র ঠিক করা হবে।
মেয়র বা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নয়
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আমরা কেবল কেএমসি নির্বাচনের জন্য নয়, অন্যান্য নাগরিক নির্বাচনের জন্যও মেয়র বা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী করছি না আগে থেকে। পুরসভা জেতার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা পুরভোটকে মিনি বিধানসভা নির্বাচন হিসেবে দেখছি। সেইমতোই লড়াই করা হবে।