তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের আর চাইছে না বিজেপি! দলে দলে কর্মীদের যোগদানে উৎফুল্ল সাংসদ
তৃণমূল নেতাদের আর চাইছে না বিজেপি! দলে দলে কর্মীদের যোগদানে উৎফুল্ল সাংসদ
বিজেপিতে ১৩ মাস কাটিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরেছেন দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র। এ প্রসঙ্গেই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তাঁর সাফ কথা, যাঁরা ফিরে যাচ্ছেন তাঁর ১০ শতাংশের মধ্যে পড়ে, বাকি ৯০ শতাংশই বিজেপিতে রয়ে গিয়েছেন।
মানুষ হাজারে হাজারে যোগদান করছে
রানাঘাটের বিজেপি সাংসদের কথায়, এখন আমরা আর নেতাদের গুরুত্ব দিচ্ছি না, বরং প্রতিদিন সাধারণ মানুষ হাজারে হাজারে যোগদান করছে। তিনি বলেন, প্রতিদিনই যোগদানের অনুষ্ঠান লেগেই রয়েছে। এখন করোনা আবহে আমরা যোগদান বন্ধ রেখেছি। মানুষ এখন ঘুরে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি সমস্ত বিশ্বাসই তারা হারিয়ে ফেলেছেন।
তৃণমূলেও বড় বিপর্যয় নেমে আসবে
জগন্নাথবাবু বলেন, শুধু করোনা কমতে দিন, তারপর দেখবেন আম্ফানের মতো ঝড় উঠবে। দলে দলে বিজেপিতে যোগ দেবে। আম্ফান যেমন বড় বড় গাছকে এক লহমায় ভেঙে দিয়েছিল, তেমনই তৃণমূলেও বড় বিপর্যয় নেমে আসবে। ওই দলটাই আর থাকবে না।
নেতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি না
তাঁর কথায় স্পষ্ট, বাংলার মানুষ চাইছে পরিবর্তন। তাঁরা বুঝতে পেরে গিয়েছেন তৃণমূলের পক্ষে সুশাসন আনা সম্ভব নয়। একমাত্র বাংলাকে সোনার বাংলা রূপে গড়তে পারে বিজেপি। মানুষ তাই বিজেপির দিকে আসছেন। আমরা তাই আর নেতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি না। বাংলার মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।
বাংলায় ২০০-র মতো আসন পাবো
রানাঘাটের সাংসদের কথায়, বাংলায় আমরা ২০০-র মতো আসন পাবো। ২০০-র কাছাকাছি থাকবে বিজেপির আসন। বিজেপি ক্ষমতায় আসছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। বাংলার মানুষ যেভাবে সাড়া দিচ্ছেন, তাতে বিজেপির প্রাপ্ত আসন ২০০-র বেশি হলেও আমরা অবাক হব না।
মুকুল রায়ই ২০২১-এর সেনাপতি
জগন্নাথ সরকার বলেন, আমরা আদর্শ নিয়ে দল করি। আমাদের দলে শুধু একটা খুঁটি্ নয়, অনেকে রয়েছে। তাই মতপার্থক্য থাকতেই পারে। গঠনগত আলোচনা হলে তো মতপার্থক্য ঘটবেই। এছাড়া কোনও কোন্দল নেই। মুকুল রায়ই আসন্ন বিধানসভা লড়াইয়ের সেনাপতি। তাঁর হাতেই তৃণমূল সৃষ্টি, আর তাঁর হাতেই ধ্বংস হবে।
পাঞ্জাবে বিষ মদ কাণ্ড, ৪৮ ঘণ্টায় মৃত কমপক্ষে ২১, উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর