বিজেপি নেত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে খোদ সভাপতির বিরুদ্ধে, স্পষ্ট দলের বিভাজন
দলের মহিলাকর্মীর সঙ্গে অশ্লীল আচরণের অভিযোগ উঠল বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে ওই নেতার বিরুদ্ধে যাবতীয় ঘটনা ভিডিও রেকর্ডিং করে রাখারও দাবি করেছেন অভিযোগকারিনী।
দলের মহিলাকর্মীর সঙ্গে অশ্লীল আচরণের অভিযোগ উঠল বিজেপির এক সাংগঠনিক সভাপতির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে তোলপাড় হয় হুগলি জেলার বিজেপি-র অন্দরমহল। একটা সময় এমন খবরও চাউর হয় যে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত ওই বিজেপি নেতাকে। যদিও পরে চূঁচূড়া থানা পরিষ্কার এমন কোনও গ্রেফতারির খবর উড়িয়ে দেয়।
হুগলি জেলা বিজেপির ওই সাংগঠনিক সভাপতি সুবীর নাগের বিরুদ্ধে রাজ্য বিজেপির যুবমোর্চার এক মহিলা নেত্রী অশালীন আচরণের অভিযোগ তুলেছিলেন। এখানেই থামেননি ওই মহিলা নেত্রী, তাঁর আরও অভিযোগ, জেলা সভাপতি সুবীর নাগ ও তাঁর অনুগামীরা তাঁকে মারধরও করেছেন। এই মর্মেই তিনি চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বলে দাবি করেন। কিন্তু, চূঁচূড়া থানা এক্ষেত্রেও এমন কোনও অভিযোগ দায়েরের কথা নিশ্চিত করেনি।
গত বুধবার হুগলি জেলা বিজেপি কার্যালয়ে সাংগঠনিক বৈঠক ছিল জেলা নেতৃত্বের। অভিযোগকারী ওই মহিলা নেত্রীর দাবি, জেলা পর্যবেক্ষক কৌশিক ঘোষের আমন্ত্রণে তিনি বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, জেলা সাংগঠনিক সভাপতি চাননি আমি ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকি। তাই আমি প্রবেশ করতেই জেলা সাংগঠনিক সভাপতি ও তাঁর অনুগামীরা আমার দিকে ধেয়ে আসেন। আমাকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল গালিগালাজ দিতে শুরু করেন। আমাকে বেরিয়ে য়েতে বলেন।
নেত্রী বলেন, আমি জেলা সাংগঠনিক সভাপতির নির্দেশ অমান্য করে বৈঠকে থাকি। তখন আমাকে কার্যালয় থেকে বের করতে আমার গায়ে ধাক্কা দেন। সে সময় তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ। তিনি লিখিত অভিযোগের পাশাপাশি একটি ভিডিও ক্লিপিংসও পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। বিজেপি নেত্রীর আরও অভিযোগ, জেলা সাংগঠনিক সভাপতি সুবীর নাগ তাঁকে একাধিকবার প্রাণে মারার হুমকিও দেন। তাঁর লাশ গায়েব করার হুমকি দেন। সমস্তকিছুই তিনি ভিডিও করে রেখেছেন বলে দাবি করেছেন।