মমতাকে ‘মাওবাদী নেত্রী’ তকমায় বুলেট ছেড়ে ব্যালটে লড়ার চ্যালেঞ্জ বিজেপি নেতার
রাজ্যের মু্খ্যমন্ত্রীকে ‘মাওবাদীদের নেত্রী’ বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির ঝাড়খণ্ড জেলা সভাপতি। মনোনয়নে রাজ্যজুড়ে হিংসা প্রসঙ্গেই জেলা সভাপতি সুখময় শথপতি বলেন এ কথা।
রাজ্যের মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'মাওবাদীদের নেত্রী' বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি। মনোনয়নে রাজ্যজুড়ে হিংসা প্রসঙ্গেই জেলা সভাপতি সুখময় শথপতি বলেন, সন্ত্রাসের যে আবহ তৈরি হয়েছে এই জেলায় তা মাওবাদী-রাজকেও হারমানায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর ম্যাজিকের মতো মাওবাদী কার্যকলাপ বন্ধ হয়েছিল। এখন আবার তা ফিরিয়ে এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন:২২ বছর ধরে ভাত খান না মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর নিত্য আহারের হিসাব দেখলে চমকে যাবেন ]
এ প্রসঙ্গেই বিজেপির জেলা সভাপতির ব্যাখ্যা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও জাদু জানেন না যে, তিনি সরকারে আসার পরই মাওবাদী কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে গেল। আর মাওবাদীরা সব অস্ত্র ছেড়ে সাধু হয়ে গেল। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেত্রীর মতো যেমন নির্দেশ দিচ্ছেন তেমন কাজ করছেন মাওবাদীরা। মাওবাদীরা এখন দলের ক্যাডারে পরিণত হয়েছে বলে তাঁর অভিমত।
সুখময় শথপতির অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা রাস্তায় টাঙ্গি, বন্দুক নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিজেপিকর্মীরা মনোনয়ন নিয়ে বের হতেই তাঁদের তাড়া করা হয়েছে। মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। এই সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গলের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। এদিন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন।
তাঁর অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী আর পুলিশ মিলে এখন এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। থানার ওসিরা শাসক দলের ক্যাডারের মতো কাজ করছেন। তাঁদের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মনোনয়ন তুলে নেওয়ার চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ বিজেপি নেতার। তিনি দাবি করেন, জঙ্গলমহলের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। বুলেটের না হয়ে লড়াইটা ব্যালটের হলেই তাঁরা দেখিয়ে দেবেন কার শক্তি কত!
জঙ্গলমহেল মাওবাদী ক্রিয়াকলাপ বন্ধ করা প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নেন বিজেপির জেলা সভাপতি। তিনি বলেন, হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাদু জানেন, তা না হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাওবাদী নেত্রী। তাই মাওবাদীরা তাঁর কথা শুনে অস্ত্র সংবরণ করেছেন। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারকে মাওবাদী সরকারে বলেও আক্রমণ করেন তিনি।
এই অভিযোগ সত্ত্বেও তিনি বলেন, যদি মানুষ ভোটাধিকার পায়, তাহলে আমরা দেখিয়ে দেহ তৃণমূলের সময় শেষ হয়ে এসেছে। আর তৃণমূলের শেষের দিনের শুরু হয়ে গিয়েছে বলেই হিংসা-খুনোখুনিকে হাতিয়ার করে ভোটে জিততে চাইছে। বুলেট ছাড়লে আমরা ব্যালটে সেই জবাব জিতে তৈরি আছি।
[আরও পড়ুন: মমতা কত অগণতান্ত্রিক দেখাবেন মুকুল! তারপরই জন আদালতে বিচার চাইবে বিজেপি]