নির্ঘন্ট প্রকাশ হলেই বাংলা দখলে ঝাঁপিয়ে পড়বে শাহের ২২ জনের টিম
নির্ঘন্ট প্রকাশ হলেই বাংলা দখলে ঝাঁপিয়ে পড়বে শাহের ২২ জনের টিম
২০০ বেশি আসন পেয়ে বাংলা দখল করবে বিজেপি। এমনটাই জানিয়েছেন অমিত শাহ। আর সে লক্ষ্যেই এখন ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব তো বটেই, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও বাংলা দখলে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। গত কয়েক দফায় একাধিকবার বাংলায় এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। এসেছেন অমিত শাহও। এখানেই শেষ নয়, প্রথম পর্যায়ের ভোট প্রচারে বাংলায় আসতে পারেন ২২ জন কেন্দ্রীয় নেতা। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের খেলার আগেই তা শেষ করবে এবার বিজেপি। তবে শাসকদল তৃণমূল, এই বিষয় খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁদের পালটা দাবি, বহিরাগত লোক এনে সাধারণ মানুষের মন জয় করা যায় না। কাছে থেকে উন্নয়ন মুখ্যমন্ত্রীর করেছেন। আর সেই নিরিখেই এবার ভোট হবে বলে দাবি শাসকদল তৃণমূলের।
তালিকায় গিরিরাজ সিং থেকে স্মৃতি ইরানি
যে কোনও দিন ভোট ঘোষণা হতে পারে বঙ্গে। একবার বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গেলেই জোরদার প্রচারে নামবে শাসক-বিরোধী শিবির। যুদ্ধের ময়দানে কেউ কাউকে জমি ছাড়বে না। তা স্পষ্ট। এই অবস্থায় প্রথম পর্যায়ের ভোটের প্রচারে স্ট্রেটেজি সাজিয়ে ফেলেছে বিজেপি। জানা যাচ্ছে, প্রথম পর্যায়ের প্রচারের জন্য মাঠে নামতে চলেছেন ২২ জন কেন্দ্রীয় নেতা। যার মধ্যে রয়েছেন একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই তালিকা প্রকাশ্যে আনেনি বিজেপি নেতৃত্ব। তবে সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল-সহ ধর্মন্দ্র প্রধান এবং গিরিরাজ সিংয়ের মতো নেতাদের নাম নিয়ে বক্তাদের তালিকা তৈরি হয়েছে। তালিকায় রয়েছেন স্মৃতি ইরানি সহ বাংলা জানা বেশ কয়েকজন নেতাও। ভোটের দিন ঘোষণা হলেই তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়বেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।
দ্বিগুণ শক্তি প্রয়োগ করতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি
গত লোকসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে রাজ্যের একাধিক বিধানসভ কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তাবড় তাবড় মন্ত্রীরা তাঁদের কেন্দ্রে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন। যদিও লোকসভা ভোটের পর অনেকেটাই রাজনৈতিক, সমীরণ বদলে গিয়েছে। নিজেদের মায়ের হারানো জমি শক্ত করেছে শাসকদল তৃণমূল। এই অবস্থায় গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলার বিধানসভা আসনগুলিতে একটি অন্তর্বর্তী সমীক্ষা চালায় বিজেপি। ভোট হলে কী হবে বিজেপির। তাতে দেখা যায়, এমন ১১০ টি আসন রয়েছে যেখানে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট আসনগুলিতে দ্বিগুণ শক্তি প্রয়োগ করে প্রচারে নামতে চাইছে বিজেপি। তবে ঠিক কোন আসনগুলিতে লড়াই জোড়দার হবে সে বিষয়ে কোনও কিছু বলতে চায়নি বিজেপি।
ঘুটি সাজাচ্ছেন মুকুল
এবার বিধানসভা ভোটে পিছনে থেকে ঘুটি সাজাচ্ছেন মুকুল রায়। ভোটের আগে তাঁর একের পর এক চাল রীতিমত চাপে ফেলছে শাসকদল তৃণমূলকে। গত কয়েকমাসে একাধিক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী বিজেপিমুখী। সেদিকে তাকিয়েই নাকি এমন ঘুটি মুকুল রায় সাজিয়েছেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে কোন কোন কেন্দ্রীয় নেতা বাংলায় প্রচার করতে আসবেন সেই লিস্টও নাকি তৈরি করেছেন মুকুল রায়। শুধু তাই নয়, কোন কোন জায়গায় তাঁরা প্রচার করবেন তাও মুকুল রায় ঠিক করে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটের সমস্ত পরিকল্পনা তৃণমূলের প্রাক্তন চাণক্যের মস্তিষ্কপ্রসূত বলে জানা গিয়েছে। আর সেই পরিকল্পনা জমা দেওয়া হয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছে। আর তা দেখে নাকি পাশ করে দিয়েছেন তিনি। খুব শিঘ্রই যারা বাংলায় প্রচার করবেন তাঁদের সঙ্গে নাড্ডা নিজে বৈঠক করবেন বলেও খবর।
বিশেষ নজর কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে
গত লোকসভা ফলাফলের নিরিখে বিচার করলে দেখা যাবে উত্তরবঙ্গে বিজেপি ভালো ফল করেছে। ভোটের মার্জিনও ভালো। নিজেদের জমি শক্ত করেছে বিজেপি। কিন্তু উত্তরে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল যথেষ্ট মাথা ব্যাথার কারণ। আর সেটাকে কাজে লাগাবে বিজেপি, মত রাজনৈতিকমহলের। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গ-সহ কলকাতাকে পাখির চোখ করে নেমেছে বিজেপি। মনে করা হচ্ছে, ১১০টি আসন যেখানে হাড্ডহাড্ডি শাসকদলের লড়াই হবে সেগুলি কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের একাধিক অঞ্চল। তবে তৃণমূলকে কোনও অংশেই ছাড় দেবে না বিজেপি। আর আগেভাগেই সমস্ত ফাকফোঁকর বন্ধ করছে বিজেপি।
গ্রেফতার হতে পারেন, নিজেই আশঙ্কা করছেন রাহুল গান্ধী! তুললেন দিশা রবির প্রসঙ্গ