বিজেপির ভার্চুয়াল ব়্যালিতে ২ কোটি দর্শক! পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল তুলে ধরল পরিসংখ্যান
বিজেপির ভার্চুয়াল ব়্যালিতে ২ কোটি দর্শক! পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল তুলে ধরল পরিসংখ্যান
বাংলা থেকে দুই কোটিরও বেশি লোক দেখেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভার্চুয়াল সমাবেশ। বিজেপি সম্প্রতি এই দাবি করলেও, তৃণমূল কংগ্রেস মনে করে এই পরিসংখ্যান অবাস্তব। সম্পূর্ণ মিথ্যা পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিজেপি বিভ্রান্ত করছে বাংলার মানুষকে। তৃণমূলের দাবি বিজেপির ভার্চুয়াল সমাবেশ সুপার ফ্লপ হয়েছে।
দিনশেষে বিশাল সাফল্য দাবি বিজেপির
অমিত শাহ তাঁর এই ভার্চুযাল ব়্যালিকে বিজেপির দেশব্যাপী 'জন সংবাদ' প্রচারের অংশ হিসাবে আখ্যায়িত করেছিলেন। নয়াদিল্লি থেকে বাংলার ভার্চুয়াল সমাবেশকে সম্বোধন করেছিলেন ‘বাংলার জন সমাবেশ' হিসেবে। বিজেপির দাবি, "ভার্চুয়াল সমাবেশটি পশ্চিমবঙ্গে আমাদের সবার জন্য এক নতুন পরীক্ষা ছিল। দিনশেষে বিশাল সাফল্য পেয়েছে বিজেপি, এমনটাই দাবি বঙ্গ বিজেপির।
ভার্চুয়াল ব়্যালি, বিজেপির দেওয়া পরিসংখ্যান
বিজেপি জানিয়েছে, বাংলার মানুষ এটি টিভিতে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছেন। আমাদের রিপোর্ট অনুসারে এবং অনুমান অনুযায়ী প্রায় দুই কোটি মানুষ এটি দেখেছেন। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু এই দাবি করেছেন। তাঁর কথায়, বুথ স্তরের দলীয় কর্মীরা কমপক্ষে ১৫ হাজার বড় এলইডি স্ক্রিন এবং ৭০,০০০ এর বেশি স্মার্ট টিভি বসিয়ে তা দেখেছে।
কোথায় কোথায় ভার্চুয়াল সমাবেশে ভিড়, জানালেন সায়ন্তন
রাজ্যে আনুমানিক ৭৮,০০০ পোলিং বুথ রয়েছে। সায়ন্তনের কথায়, "টিভিতে এই সমাবেশ তো দেখেছেনই, সেইসঙ্গে জনগণের একটি বড় অংশ এটি ফেসবুক, ইউটিউব এবং আমাদের দলের ওয়েবসাইটে দেখেছেন অমিত শাহের ভাষণ। মধ্য কলকাতার মুরলিধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপি সদর দফতরে বেশ কয়েকজন নেতা ও সাংবাদিক এই সমাবেশ দেখেন।
কে কোথায় ছিলেন ভার্চুয়াল ব়্যালিতে
রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায়ের মতো প্রবীণ নেতারা পাশাপাশি মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। একই সময়ে, বাংলার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, দেবশ্রী চৌধুরী এবং অন্যান্য প্রবীণ নেতারা দিল্লিতে অংশ নিয়েছিলেন, যেখানে শাহ বক্তৃতা করেছিলেন।
বিজেপির ‘ফ্লপ শো’, পাল্টা তৃণমূলের
তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব এই দাবি নস্যাৎ করে বলেছে, যে সময়ে শাহ এই রাজনৈতিক সমাবেশ করলেন, তখন রাজ্য কোভিড ১৯-এর সঙ্গে এবং ঘূর্ণিঝড় 'আম্ফানে'র ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। ফলে এই ভার্চুয়াল সমাবেশটি ছিল বিজেপির ‘ফ্লপ শো'। এর প্রতিবাদে টিএমসি টুইটারে একটি হ্যাশট্যাগ তৈরি করে প্রচার করে। সেই হ্যাশট্যাগ হল ‘বেঙ্গল রিজেক্টস অমিত শাহ'।
অমিত শাহের রাজনৈতিক চালাকি
তৃণমূলের দাবি, "অমিত শাহের রাজনৈতিক চালাকিটি বাংলার মানুষ ধরে ফেলেছেন। রাজ্যের মানুষের কাছে তা স্থান পায়নি। অমিত শাহের বক্তৃতার সময়, বাংলার মানুষ বার বার বিজেপি এবং অমিত শাহের বিরুদ্ধে টুইটার-সহ সমস্ত সামাজিক মিডিয়ায় তাঁদের মতামত প্রকাশ করেছেন।
মিথ্যা বলা বন্ধ করুক বিজেপি
অমিত শাহের ভার্চুয়াল ব়্যালি বিরোধী ওই হ্যাশট্যাগ ‘বেঙ্গল রিজেক্টস অমিত শাহ' কলকাতায় ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে ছিল আর দেশব্যাপী পরিসংখ্যানে ১৭তম অবস্থানে ছিল। তাই বিজেপির দুই কোটি দর্শকের দাবি বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। বিজেপির পক্ষে সাধারণ সমাবেশেই লোক পাওয়া শক্ত হয়ে যায়। তাই তারা কোথা থেকে দুই কোটি দর্শক পাবেন? বিজেপির উচিত প্রতিটি বিষয়ে মিথ্যা বলা বন্ধ করা।
তৃণমূল দিল যে পরিসংখ্যান
সংখ্যার বিচারে তৃণমূলের হ্যাশট্যাগটি থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে প্রায় ৮৫,০০০ বার টুইট করা হয়েছিল। তুলনায় অনেক পিছিয়ে ছিল বিজেপি। বিজেপির হ্যাশট্যাগটি থেকে টুইট করা হয়েছিল ৩৫,০০০ বার সাড়ে ছটা পর্যন্ত। ট্রেন্ডিংয়ে ডাবলেরও বেশি সংখ্যায় এগিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। টুইটারের একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৪০টিরও বেশি যাচাই করা অ্যাকাউন্ট থেকে বিজেপির হ্যাশট্যাগে টুইট করা হয়েছে এবং রিটুইট করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস মাত্র ১৪টি যাচাই করা অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই ওই সংখ্যাই পৌঁছে গিয়েছে।
ভারতের ভূখণ্ড দখল করেছে চিন, রাহুলের প্রশ্নের জবাবে স্বীকারোক্তি লাদাখের বিজেপি সাংসদের