নির্বাচনে জিতেও অখুশি বঙ্গ বিজেপি! এবার আর বিজয় মিছিল নয়, কেন এমন সিদ্ধান্ত
২০১৯-এর আগে কর্ণাটক-যুদ্ধে জয় অক্সিজেন জোগাবে বলেই মনে করছে বিজেপি। কিন্তু খুশি হয়েও বঙ্গ বিজেপি বিজয় মিছিল করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কর্ণাটকে অভাবনীয় জয় পেয়েছে বিজেপি। কর্ণাটকের মতো শক্তিশালী দুর্গে তারা কংগ্রেসকে হারাতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে ছিল নেতৃত্ব। স্বাভাবিকভাবে কংগ্রেসকে টেক্কা দেওয়ায় বিজেপি নেতৃত্ব বেজায় খুশি। ২০১৯-এর আগে তা অক্সিজেন জোগাবে বলেই মনে করছে নেতৃত্ব। কিন্তু খুশি হয়েও বঙ্গ বিজেপি বিজয় মিছিল করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
একদিন আগেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক সন্ত্রাস চলেছে রাজ্যে। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই অবস্থায় বাংলার বুকে বিজয় মিছিল করতে চাইছে না বিজেপি। রাজ্য থেকে অপশাসন দূর করার পরই বিজয় উৎসবে মাতবে বিজেপি, এমনটাই জানিয়ে দিল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: ফোনে বার্তা দেবেগৌড়াকে, মোদীকে রুখতে কংগ্রেসের হয়ে আসরে নামলেন মমতা ]
এদিন বঙ্গ বিজেপির তরফে জানানো হয়, কর্ণাটকে দলের সাফল্যে অবশ্যই অভিনন্দন জানানো হবে। কিন্তু বিজয় উৎসব করা হবে না। ত্রিপুরা দখলের পর যেভাবে বিজয় উৎসবে মাতোয়ারা হয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। যেভাবে বাংলার বুকে আছড়ে পড়েছিল গেরুয়া ঝড়, এবার তা অন্তত হচ্ছে না।
কিন্তু শুধু কি রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাসের জন্যই বিজয় মিছল না করার সিদ্ধান্ত বিজেপির? অবশ্য এই সিদ্ধান্তের পিছনে আরও একটা বড় কারণ থাকতে পারে। তা হল- কংগ্রেসকে টেক্কা দিলেও এবার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করতে পারেনি বিজেপি। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার খুব কাছে গিয়ে থেমে যায় বিজেপি।
এই অবস্থায় কর্ণাটকে বিজেপির সরকার গড়া কার্যত অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। কার্যত অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছে সোনিয়া গান্ধীর এরক চালে। জেডিএসকে সরকার গড়ার ডাক দিয়ে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েচেন সোনিয়া। ফলে বিজেপি কর্ণাটকে বৃহত্তম দল হলেও সরকারে ফিরতে পারছে না। সেই কারণেও বিজয় মিছিল না করার সিদ্ধান্ত হতে পারে।