কমছে বিধায়ক সংখ্যা, এবার পুনর্গণনার আর্জি নিয়ে আদালতে যাচ্ছেন দিলীপরা
কমছে বিধায়ক সংখ্যা, এবার পুনর্গণনার আর্জি নিয়ে আদালতে যাচ্ছেন দিলীপরা
বাংলার মানুষের রায় মেনে নিতে পারছে না বিজেপি। মমতার এই অভিযোগ হয়তো সত্যি হতে চলেছে। বাংলার ভোটের পুনর্গণনার আর্জি নিয়ে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। সূত্রের খবর বিজেপির দাবি অধিকাংশ কেন্দ্রেই বিজেপি প্রার্থীদের থেকে মাত্র হাজার দুয়েক ভোটেই জিতেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। তাই পুণর্গণনার জন্য আর্জি জানাবে তারা।
কোথায় মিলবে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ? বিভ্রান্তি কাটাতে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিল নবান্ন
কমছে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা
২০০ আসনের টার্গেট পূরণ হয়নি। ৭৭-ই থামতে হয়েছে িবজেপিকে। তারপরেই আবার সদ্য নির্বাচিত দুই বিধায়ক নীশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার। আজই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তাঁরা। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনুমতি নিয়েই ইস্তফার সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন দুই নেতাই। কিন্তু কেন হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। দুই বিধায়কের ইস্তফায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৭ থেকে কমে ৭৫ হয়ে গেল।
আদালতে যাচ্ছে বিজেপি
বিধায়ক সংখ্যা কমায় একটু চাপেই রয়েছেন দিলীপ ঘোষরা। এদিকে এই রাজ্যের বিধানসভা ভোটের পুনর্গণনার আর্জি নিয়ে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে বিজেপি ভোট পরবর্তী সমীক্ষায় জানতে পেরেছে অধিকাংশ কেন্দ্রেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ২০০০কম ভোেট জিতেছে। অর্থাৎ ২০০০-র কম ভোটে হেরেছে বিজেপি প্রার্থীরা। সেকারণেই তাঁরা পুনর্গণনার আর্জি নিয়ে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নন্দীগ্রাম নিয়ে আদালতে যাবে তৃণমূল
বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস জিতলেও নন্দীগ্রামে কিন্তু হার হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নন্দীগ্রামে ২০০০-র কম ভোটে জিতেছে শুভেন্দু অধিকারী। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে পুনর্গণনার আর্জি জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। তারপরেইএই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছেন মমতা। তার পাল্টা চাপ দিতেই বিজেপি পুরর্গণনার আর্জি নিয়ে আদালতে যাবে বলছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
হার মেনে নিতে পারছে না বিজেপি
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন বিজেপিই একাধিক জায়গায় গিয়ে উস্কানি দিচ্ছে। তাঁরা কিছুতেই বাংলার মানুষের রায় মেনে নিতে পারছে না বলে এই ধরনের উস্কানি দিচ্ছে বিজেপি। হিংসা বন্ধের দাবিতে রাজ্যপালের কাছে একাধিক বার দরবরা করেছেন বিজেপি নেতারা।