শিকে ছিড়ল না মুকুলের, মেয়াদ ফুরোলেও ২০১৯-এ বিজেপির ভরসা দিলীপের নেতৃত্বে
লোকসভা নির্বাচনেও কি দিলীপ ঘোষই বিজেপির নেতৃত্বে থাকবেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল দীর্ঘদিন ধরেই। আপাতত সেই জল্পনার অবসান ঘটল।
লোকসভা নির্বাচনেও কি দিলীপ ঘোষই বিজেপির নেতৃত্বে থাকবেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল দীর্ঘদিন ধরেই। আপাতত সেই জল্পনার অবসান ঘটল। বিজেপির নেতৃত্ব আসছেন না কোনও নতুন মুখ। দিলীপ ঘোষের উফরেই ভরসা রাখছে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। জাতীয়স্তরে যেমন অমিত শাহই থাকছেন সভাপতি বাংলার ক্ষেত্রেও অন্যথা হচ্ছে না। দিলীপ ঘোষের উপরই ন্যস্ত থাকছে দায়িত্ব।
মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বিজেপি সভাপতির পদ নিয়ে নানা কাটাছেঁড়া চলছিল। যতটা না ঘটনা, তার থেকে রটনাই ছিল বেশি। দিলীপ ঘোষের অপসারণ নিয়ে নানা সময়ে নানা রটনা করা হয়েছে। কিন্তু তা যে নিছক জল্পনাই ছিল, তার প্রমাণ মিলল দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে।
[আরও পড়ুন:'হিন্দুদের একতা চাই, নাহলে একা সিংহকে পেয়ে বন্য কুকুরও ছিঁড়ে ফেলবে', দাবি মোহন ভগবতের]
দিল্লিতে চলা দুদিনের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হল- লোকসভা নির্বাচনের কারণে বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন এক বছর পিছিয়ে দেওয়ার। অর্থাৎ যাদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০১৮-র ডিসেম্বরে, তাঁদের পদের মেয়াদ বেড়ে যাচ্ছে আরও এক বছর। লোকসভার নির্বাচনের আগে বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন হবে না। বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন হবে ২০১৯-এর ডিসেম্বরে।
সেই কারণেই দিলীপ ঘোষের সভাপতি পদের মেয়াদ বেড়ে গেল ২০১৯ সাল পর্যন্ত। রাজ্যে তাঁর নেতৃত্বে লোকসভা নির্বাচনে লড়বে বিজেপি। সর্বভারতীয় নেতৃত্ব আশাবাদী দিলীপ ঘোষের নেতৃত্ব এবার রাজ্যে ভালো ফল করবে বিজেপি। এই মুহূর্তে রাজ্য বিজেপিতে দিলীপ ঘোষের জনপ্রিয়তাই সবথেকে বেশি বলে দাবি তাঁর অনুগামীদের। সভাপতি হিসেবে মেয়াদ বাড়ায় উৎফুল্ল তাঁরা।
[আরও পড়ুন:অশোক ভট্টাচার্যের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি! স্পিকারকে চিঠি দিচ্ছে তৃণমূল]
সভাপতির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ার পর দিলীপ ঘোষ বলেন, আমি বিজেপির একজন সৈনিক, দল আমাকে যে দায়িত্ব দেবে, সেই দায়িত্ব আমি মাথা পেতে নিয়ে যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করে যাব। তাই মেয়াদ বাড়া-কমা নিয়ে আমার চিন্তা নেই। দল দায়িত্ব দিয়েছে, আমাকে পালন করতে হবে- এটুকুই শুধু জানি।
[আরও পড়ুন: বাংলায় সিংহের গর্জন আর দিল্লিতে ভিজে বেড়াল মমতা! কারণ জানালেন এই বাম নেতা ]
আপাতত কোনও সাংগঠনির পরিবর্তন না হওয়ায় মুকুল রায়ের ভাগ্যে এবারও শিকে ছিঁড়ল না। জুটল না কোনও পদ। বিজেপি নেতা হিসেবে আরও এক বছর থাকার সম্ভাবনা প্রবল হল তাঁর। শুধু তিনি এখন জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য, এই যা। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পর ইতিমধ্যেই এক বছর অতিবাহিত হয়ে চলল। এখনও কোনও পদ পেলেন না তিনি।