বিজেপি জয়ের সরণিতে ফিরতে ‘গবেষক’ নামাল বাংলায়, চাই ভোটে জেতার ফর্মুলা
সাড়া ফেলেও বাংলার ভোটে জিততে পারেনি বিজেপি। ২০২১-এ ল্যাজেগোবরে হতে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তাঁর দল ভেঙেও বিজেপি জয়ের দেখা পায়নি। এই অবস্থায় কী করে মিলতে পারে জয়ের দেখা।
সাড়া ফেলেও বাংলার ভোটে জিততে পারেনি বিজেপি। ২০২১-এ ল্যাজেগোবরে হতে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তাঁর দল ভেঙেও বিজেপি জয়ের দেখা পায়নি। এই অবস্থায় কী করে মিলতে পারে জয়ের দেখা। তার জন্য গবেষণা চলছে বহুদিনই। বিজেপির দিক থেকে কেন মুখ সরিয়ে নিচ্ছে বাংলা, তা জানতেই এবার 'গবেষক' নিয়োগ করল তারা।
বিজেপির পিঠ যখন দেওয়ালে ঠেকেছে
একুশের নির্বাচনের পর থেকে দেখা যাচ্ছে বিজেপি ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। তারা জায়গা হারাচ্ছে বাংলায়। যে বাম ভোট নিয়ে তারা তৃণমূলের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছিল, সেই ভোট আবার ফিরে যাচ্ছে বামেদের বাক্সে। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গ বিজেপি পড়েছে বিপাকে। সম্প্রতি পুর-নির্বাচনে এবং উপনির্বাচনে দেখা গিয়েছে বিজেপির পদস্খলন। তারপর বিজেপি ২০২৩-এর পঞ্চায়েত ও ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে নতুন ভাবনার বাস্তবায়ন ঘটাতে চাইছে।
বিজেপিতে নতুন পদ ‘গবেষক'
বাংলা কেন বিজেপি থেকে বারবার মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, কেন তারা জয়ের মুখ দেখতে পারছেন না, তা জানতেই এবার এক নতুন পদের সৃষ্টি হচ্ছে। বিজেপিতে তৈরি করা হচ্চে নতুন পদ। তার নাম দেওয়া হয়েছে 'গবেষক'। এই পদ নিয়ে এখন বিস্তর চর্চা চলছে। দলের অন্দরে এবং দলের বাইরেও চর্চা বিজেপির 'গবেষক' পদ নিয়ে।
দলকে চাঙ্গা করাই লক্ষ্য বিজেপির
বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চায় তৈরি হয়েছে ওই নতুন পদ। দলকে চাঙ্গা করার লক্ষ্য নিয়ে এই পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। বিজেপির 'গবেষক'রা প্রতিটি দেলাতেই কাজ করবেন। মূল কাজ হবে তফশিলি জাতিদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনা। তার জন্যই তাঁদের প্রতিটি জেলায় ঘুরে ঘুরে কাজ করতে হবে। গবেষকদের রিপোর্টের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে দল।
বড় সমস্যা আদি-নব্য দ্বন্দ্ব মেটাতে
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই পদ তৈরি করা হয়েছে মূলত বিজেপিতে আদি-নব্যের দ্বন্দ্ব মেটাতে। সম্প্রতি বঙ্গ বিজেপির মস্ত বড় সমস্যা হল আদি-নব্য দ্বন্দ্ব। বিজেপিতে পুরনোদের সঙ্গে নতুন নেতৃত্বের মধ্যো সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সোপান তৈরি করতে বিজেপি নতুন এই পদ সৃষ্টি করেছে।
জয়ের সরণিতে ফিরতে পুরনোদের স্মরণ
বিজেপিতে অনেক পুরনো সদস্য বসে গিয়েছেন নতুন নেতৃত্বের হাতে ক্ষমতা যাওয়ার পরে। এখন নতুন পদ তৈরি করে বিজেপি চাইছে, পুরনো সহকর্মীদের ফের সক্রিয় করতে। বঙ্গ বিজেপি উপলব্ধি করেছে পুরনো নেতাদের দরকার। তাঁদের ছাড়া বিজেপি লক্ষ্যপূরণ করতে পারবে না। তাই তাঁদের পঞ্চায়েত ভোটের আগেই ময়দানে নামিয়ে তৃণমূলকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়তে চাইছে বিজেপি, চাইছে জয়ের সরণিতে ফিরতে।
বিজেপির এই পদসৃষ্টি নিয়ে নানা মত
তবে বিজেপির এই পদসৃষ্টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে নানা কটাক্ষ শুরু হয়েছে। কেউ বলছেন, এই গবেষকরা কী করবেন, তাঁদের কাজ কী? আবার কেউ লিখছেন, এই গবেষকরা আসবে নেতাদের নিয়ে গবেষণা করবেন। কেউ লিখেছেন ভোটে জেতার টিপস আবিষ্কার করবেন এই গবেষকরা। তবে বিজেপি এসব গুরুত্ব না দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে প্রস্তুত।