বিজেপি হোক বা সিপিএম, প্রার্থী একজনই! তৃণমূলের অভিযোগ সত্যি করে ধর্মসংকটে দুই দল
দুই দল থেকে এক কেন্দ্রে একজন প্রার্থীই দাঁড়িয়েছেন। যিনি বিজেপির প্রার্থী, তিনিই সিপিএম প্রার্থী। আজব এই ঘটনাকে তৃণমূল ব্যাখ্যা করছে দু-ভাবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়শই অভিযোগ করেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে এক হয়েছে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস। সেই আগুনে আরও ধুনো দিল হাওড়ার আমতার এক পঞ্চায়েতে বিজেপি এ সিপিএমের মনোনয়ন। দুই দল থেকে এক কেন্দ্রে একজন প্রার্থীই দাঁড়িয়েছেন। যিনি বিজেপির প্রার্থী, তিনিই সিপিএম প্রার্থী। আজব এই ঘটনাকে তৃণমূল ব্যাখ্যা করছে দু-ভাবে।
এক, বিজেপি আর সিপিএম প্রার্থী পায়নি, তাই একজনকে নিয়ে টানাটানি করেছে। তার ফলে ওই এক প্রার্থী দুই দলের হয়েই মনোনয়ন দাখিল করেছেন। আর দুই, তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোন প্রতীকে লড়াই করলে সুবিধা হবে, তা ঠিক করতে গিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন প্রার্থী। আসলে দু-পক্ষ তলে তলে এক হয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
এই জ্যোৎস্না সেনাপতি আইসিডিএস কর্মী। তাঁকে প্রথমে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেয় সিপিএম। সিপিএমের প্রার্থী হতে রাজি হয়ে যান তিনি। জমা হয়ে য়ায় মনোনয়নও। তারপর বিজেপিও স্থির করে জ্যোৎস্নাদেবীকে প্রার্থী করার। তাতেও রাজি জ্যোৎস্না সেনাপতি। বিজেপির হয়েও ঘটা করে মনোনয়ন জমা দেন তিনি।
এরপরই প্রকাশ্যে আসে ঘটনা। যার জেরে সিপিএম ও বিজেপি জপুই পক্ষই চরম অস্বস্তিতে পড়েছে। বিজেপি জানিয়েছে, ভোটের এর কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে মুখ খোলেনি সিপিএম। তৃণমূল কটাক্ষ করেছে, প্রার্থী না পেয়েই এই অবস্থা দুই বিরোধী পার্টির। এখন জ্যোৎস্নাদেবী আদৌ ভোটে প্রার্থী থাকবেন কি না, তাই সংশয়।
এই অবস্থায় ভোটের লড়াইয়ে তৃণমূল এই কেন্দ্রে সুবিধাজনক জায়গায় চলে গেল। বিজেপি-সিপিএমের এই ভুল চালে হয়তো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হবেন ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। এছাড়া এমনও হতে পারে প্রথম যে পার্টির হয়ে তিনি মনোনয়ন করেছেন, সেটিই গ্রাহ্যনীয় হল।