উপনির্বাচনেও বুথদখল-সন্ত্রাস, পুনর্নির্বাচনের দাবি বিজেপি-সিপিএমের
কোথাও বিরোধী এজেন্ট অপহরণ, কোথাও বুথ থেকে বিরোধী এজেন্টদের বের করে দিয়ে দেদার রিগিং চালানো হয়েছে। পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলেছে বিজেপি। সিপিএম তথা বামফ্রেন্টর পক্ষ থেকেও পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলা হয়েছে।
তমলুক, ১৯ নভেম্বর : উপনির্বাচনেও ব্যাপক ছাপ্পা ও রিগিংয়ের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ বুথ দখল করে সন্ত্রাসের বাতাবরণে ভোট হয়েছে তিন কেন্দ্রেই। তমলুক ও কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রই হোক বা মন্তেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্র উপনির্বাচনেও ভোট হল শাসকদলের রক্তচক্ষুতে। অভিযোগ, অধিকাংশ বুথেই ছিল না কোনও বিরোধী এজেন্ট। কোথাও বিরোধী এজেন্ট অপহরণ, কোথাও বুথ থেকে বিরোধী এজেন্টদের বের করে দিয়ে দেদার রিগিং চালানো হয়েছে। পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলেছে বিজেপি। সিপিএম তথা বামফ্রেন্টর পক্ষ থেকেও পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলা হয়েছে।
তমলুকে ৬০০ বুথে ও কোচবিহারে তিন শতাধিক বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলেছে বিজেপি ও সিপিএম। এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট-কারচুপির অভিযোগ এনে কোচবিহার জেলাশাসকের অফিসের সামনে ধরনায় বসলেন বিজেপি প্রার্থী হেমচন্দ্র বর্মন। তিনি জেলাশাসকের কাছে তৃণমূলী ভোট-সন্ত্রাসের প্রতিবাদ জানান। দাবি জানান পুনর্নির্বাচনের।
কোচবিহারে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানান ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী নৃপেন্দ্রনাথ রায়ও। বিরোধীদের যুক্তি, কোথাও ভোট হয়নি। ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। এই ভোট বাতিল করে পুনরায় ভোট করতে হবে।
এছাড়া ভোট-সন্ত্রাসের অভিযোগ তো একছার উঠেছে। বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেই ভোট হয়েছে তিন কেন্দ্রে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত তৃণমূল। কোচবিহারের সিতাইয়ে বামপ্রার্থী নৃপেন্দ্রনাথ রায়কে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের হলদিয়ায় ১৩৪ নম্বর বুথে বিরোধী এজেন্টদের মেরে বের করে দেওয়া হয়। মন্তেশ্বরের ২৭৩ নম্বর বুথের এজেন্ট প্রবীর ভরকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ পোদ্দার অভিযোগ তোলেন তৃণমূল বিরুদ্ধে। সুতাহাটায় কংগ্রেস এজেন্টকে মারধর করা হয়। কুকরাহাটির মোহনপুর গ্রামে সিপিএম এজেন্ট আরিফ বিল্লা খানকে মারধরের অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। মেমারিতে তৃণমূল-সিপিএম সঙ্ঘর্ষে গুরুতর জখম হন ২ তৃণমূল কর্মী। সাড় চারটে পর্যন্ত তিন কেন্দ্রে গড়ে ৭৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।