শুভেন্দুর গড়ে উত্থান বিজেপির! সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চায়েত বোর্ড, হার তৃণমূলের
তৃণমূলকে ঠেকাতে এক হয়ে গেল বিজেপি ও সিপিএম। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে তালগাছাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে বোর্ড গঠন করল বিজেপি।
তৃণমূলকে ঠেকাতে এক হয়ে গেল বিজেপি ও সিপিএম। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে তালগাছাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে বোর্ড গঠন করল বিজেপি। এমনকী বেশি আসনে জিতেও তারা পঞ্চায়েত প্রধানের পদ ছেড়ে দিল সিপিএমের একমাত্র সদস্যকে। উপপ্রধানের পদ পেলেন নির্দল প্রার্থী। মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে তৃণমূলকে রুখে বিশেষ বার্তা দিল বিজেপি।
পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের তালগাছাড়ি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চরমে ওঠে শুক্রবার। দফায় দফায় তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সিপিএম ও বিজেপির। বিশাল পুলিশ মোতায়েন করে শেষপর্যন্ত বোর্ড গঠন সম্পন্ন হয়। এদিন সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চায়েতের রায়ে বিরাট জয়ের দিনেও তৃণমূলের হার হল বিজেপি-সিপিএম-নির্দল জোটের কাছে।
[আরও পড়ুন: এখনও পঞ্চায়েতে সুযোগ রয়েছে বিরোধীদের! সুপ্রিম-যুদ্ধে হেরেও সাফাই রবীন-রাহুলদের]
এই গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ছিল ১৩টি। যার মধ্যে তৃণমূল পায় ৬টি আসন। বিজেপির দখলে যায় চারটি, সিপিএম ১টি ও নির্দল ২টি আসন পায়। বিজেপি দাবি করে, বিরোধীরা একজোট রয়েছে, তাদেরই বোর্ড গঠনের সুযোগ দেওয়া হোক। সেইমতো ১৩ সদস্যের পঞ্চায়েতে বিরোধী জোটই সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়। এবং বোর্ড গঠন করে সিপিএম-বিজেপি-নির্দলের মিলিত শক্তি।
[আরও পড়ুন:পঞ্চায়েত রায়ের দিনই সুপ্রিম কোর্টে অন্য মামলায় ধাক্কা রাজ্য সরকারের]
এ প্রসঙ্গেই বিজেপির দাবি, বিরোধী দলের জয়ী প্রার্থীরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে যোগ দিতে রামনগর বিডিও অফিসে ঢুকতে যায়। তখনই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা বিরোধীদের বাধা দেয়। অভিযোগ, তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হন বিজেপির জয়ী প্রার্থী ও বিজেপি কর্মীও।
রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি এলাকায় গেলে তাঁকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি দাবি করেন, তাঁর চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশাল পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশের হস্তক্ষেপেই শুরু হয় বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া।
[আরও পড়ুন:বিজেপিকে 'বিরাশি সিক্কা'র চড় কষাল সুপ্রিম কোর্ট! মোদী-শাহকে নতজানু-বার্তা সুব্রতর]