মরে যাওয়ার আগে কাটমানি ফেরত দিন! প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার উদ্দেশে বিজেপি নেতার দাবিতে চাঞ্চল্য
মরে যাওয়ার আগে নৈহাটির মানুষের কাছ থেকে নেওয়া কাটমানির টাকা ফেরত দিন। পুরবোর্ডের শেষ চেয়ারম্যান অসুস্থ অশোক চট্টোপাধ্যায়ের উদ্দেশে এমনটাই ফেসবুক পোস্ট করেছেন সেখানকার বিজেপি কাউন্সিলর গণেশ দাস।
মরে যাওয়ার আগে নৈহাটির মানুষের কাছ থেকে নেওয়া কাটমানির টাকা ফেরত দিন। পুরবোর্ডের শেষ চেয়ারম্যান অসুস্থ অশোক চট্টোপাধ্যায়ের উদ্দেশে এমনটাই ফেসবুক পোস্ট করেছেন সেখানকার বিজেপি কাউন্সিলর গণেশ দাস। অন্যদিকে অসুস্থ অশোক চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে, তিনি কাটমানি নিয়েছেন, তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন।
লোকসভা নির্বাচনের পরে দিল্লিতে গিয়ে ভাটপাড়া, কাঁচড়াপাড়া, হালিশহর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরদের মতোই নৈহাটি পুরসভার অনেক তৃণমূল কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর সেখানে প্রশাসক বসিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। এরই মধ্যে খবর রটে যায় অসুস্থ থাকা নৈহাটির শেষ পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ২০ জুলাই রাতে ফেসবুকে উল্লেখও করেন নৈহাটির বিজেপি কাউন্সিলর গণেশ দাস। তিনি বলেন, মৃত্যুর খবররের সত্যতা তিনি যাচাই করেননি। কিন্তু সেইসঙ্গে তাঁর দাবির কথাও তুলে ধরেন ওই কাউন্সিলর। মরে যাওয়ার আগে নৈহাটির মানুষের কাছ থেকে নেওয়া কাটমানির টাকা ফেরত দিতে হবে।
এপ্রসঙ্গে সাংবাদ মাধ্যনের কাছে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অসুস্থ অশোক চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ৩৪ বছর সিপিএম-এর শাসনে তিনি মাথা নোয়াননি। বিজেপি কাউন্সিলর গণেশ দাসকে বাচ্চা ছেলে বলে উল্লেথ করে, তৃণমূলের এই নেতা দাবি করেন, কাটমানি নিয়ে রাজনীতি করে না অশোক চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁর চ্যালেঞ্জ যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে তিনি কাটমানি নিয়ে রাজনীতি করছেন, তাহলে তিনি রাজনীতিই ছেড়ে দেবেন।
এদিকে, বাড়িতে জীবিত অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর মৃত্যু খবর ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অশোক চট্টোপাধ্যায়ের পরিজনরা। বিজেপি নেতার কথায় তাঁদের সম্মানহানির পাশাপাশি স্বামীর প্রাণনাশের চেষ্টা কতা হচ্ছে বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন স্ত্রী গীতা চট্টোপাধ্যায়।