বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি,কংগ্রেস ও বামেদের একজোট হওয়ার আহ্বাণ কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত থেকে 'বাঁচাতে' রাজ্যে বিরোধীদের একজোট হওয়ার আহ্বাণ জানালেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। বাংলায় তৃণমূলকে আটকাতে গেলে বিজেপি-কং-বাম একজোট হওয়া উচিৎ বলে তাঁর মত।
কলকাতা, ৭ ফেব্রুয়ারি : পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত থেকে 'বাঁচাতে' রাজ্যে বিরোধীদের একজোট হওয়ার আহ্বাণ জানালেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। বাংলায় তৃণমূলকে আটকাতে গেলে বিজেপি-কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের একজোট হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন কৈলাশ।[রইস-কাবিল লড়াই নিয়ে ধুন্ধুমার, লাগল রাজনীতির ছোঁয়াও]
একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখতে উঠে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, "বাংলায় নীতিগতভাবে বিরোধী দলগুলোর একজোট হওয়ার প্রয়োজন এসে পড়েছে। আমি আমার কংগ্রেস ও কমিউনিস্ট বন্ধুদের কাছে আমি অনুরোধ করব আমাদের সঙ্গে যোগ দিন এবং বাংলাকে তৃণমূলের হাত থেকে বাঁচান।"[প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বাক্যবাণ, অমিত শাহের জরুরি তলব দিলীপকে]
এদিন বিজয়বর্গীয় তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের 'সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে তোষামোদের' নিন্দা করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, রাজ্যের সাংস্কৃতিক ভাবাপন্ন ভাবমূর্তিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তীব্রভাবে ধাক্কা খাচ্ছে।[চিটফান্ড কাণ্ডে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারি নিয়ে বক্রোক্তি বিজেপির দিলীপ ঘোষের]
বিজেপির এই নেতার অভিযোগ, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি ভাল না। রাজ্যের অবস্থা দিনকে দিন আরও খারাপ হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লেগেই রয়েছে।[রাজ্যকে মনিরুল ও আরাবুলের বাংলা বানাতে দেব না, মমতাকে কড়া বার্তা দিলীপের ]
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগও এনেছেন বিজয়বর্গীয়। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে বিজেপিকে জনসভা বা মিছিল মিটিংয়ের জন্য বেশিরভাগ সময়ই অনুমতি দেয় না পুলিশ। পুলিশকে রাজনৈতিক চরিতার্থতা সার্থক করার জন্য ব্যবহার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যে নীতিগতভাবে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে আগাগোড়াই পার্থক্য ছিল। তবে এনডিএ সরকারের তৃণমূল জোট গড়লেও দেশের ক্ষমতায় নরেন্দ্র মোদী আসার পর থেকেই বিজেপি তৃণমূলের ঠোকাঠুকি চলছে। মোদীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পর থেকে সেই বিরোধিতা চরম আকার নেয়। এরপর রোজভ্যালি চিটফান্ড মামলায় তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআই গ্রেফতার করার পর থেকে এই বিরোধিতা আরও তীব্র হয়।
এদিকে গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে হঠাতে কংগ্রেস বামফ্রন্টের নজিরবিহীন আসন সমঝোতার পরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকানো যায়নি। ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২১০টি আসন নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসে তৃণমূল সরকার। এদিকে রাজ্যে যেখানে বিজেপির ভিত এখনও নড়বড়ে সেখানে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপি যোগ দিলেও দিদির গদি টানা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন তো রয়েই যাচ্ছে।