আদালতে নতুন আশার সঞ্চার, পঞ্চায়েতে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে মরিয়া বিরোধীরা
সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে উঠে পড়ে লাগল বিরোধীরা। হাইকোর্টের নির্দেশে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পেশের।
সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে উঠে পড়ে লাগল বিরোধীরা। হাইকোর্টের নির্দেশে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পেশের। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে মরিয়া বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস শিবির নতুন করে প্রার্থী খোঁজা শুরু করল। বিরোধীরা মনে করছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার একটা সুযোগ আসবেই। তখন বাকি আসনগুলিতে প্রার্থী দিতে হবে যেকোনও মূল্যে।
হাইকোর্ট আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ভোট প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করেছে। ফলে বাড়তি অন্তত তিনদিন সময় পেয়ে গিয়েছে বিরোধী দলগুলি। এই সময়ে তাঁরা ফাঁক পূরণ করতে বদ্ধপরিকর হয়েছে। এখন ভোটের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে হাইকোর্টের রায়ের উপর। ভোট পিছিয়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা যেমন রয়েছে, তেমনই মনোনয়ন জমার জন্যও সুযোগ এসে যেতে পারে।
বিরোধীরা তাই আগে থেকে প্রস্তুত হয়ে থাকতে চাইছে। সুযোগ এলেই চটজলদি মনোনয়ন জমা দিয়ে শাসককে জবাব দিতে চায় তারা। কিন্তু যদি সুযোগ পেয়েও বাকি আসনে প্রার্থী দিতে না পারে বিরোধীরা, তবে নিজেদের মুখেই চুনকালি পড়বে। সেটা হোক, চাইছে না বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস- কেউই।
এটা ঠিক যে অনেকেই মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। আবার এটাও ঠিক বহু জায়গায় প্রার্থী পাওয়া নিয়েও সংকট তৈরি হয়েছে বিরোধী দলে। তা বলে যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী-সমর্থক নেই, তা ভাবা ভুল। অনেকেই অসম লড়াইয়ে নামতে চাইছে না। অনেকে আবার প্রতীক বাঁচাতে নিজেদের সম্মান বলি দিচ্ছে।
এই অবস্থায় বিরোধীরা নতুন করে লড়াইয়ে নামছে এবার। তবে যে সমস্ত কেন্দ্রে আক্রান্ত হয়ে ফিরতে হয়েছে বিরোধীদের, তাঁরা প্রার্থী দিয়ে ভোটযুদ্ধে সামিল হতে পারবেন। বিরোধীরা এখন থেকেই দাবি তুলেছে, যদি ১৬ এপ্রিল হাইকোর্ট পুনরায় মনোনয়ন পেশের নির্দেশ দেয়, তবে যেন যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ থাকে।
ভোটের লড়াই এখন আদালতের দরজায় যাওয়ায় বিজেপির মতো বাম ও কংগ্রেস শিবিরও প্রার্থী খোঁজ করতে শুরু করেছে অতি উৎসাহভরে। মোট কথা পুনরায় মনোনয়ন দেওয়ার সমস্ত প্রস্তুতি সারা রাখছে সমস্ত বিরোধী দলগুলিই। এখন শুধু আদালতের নির্দেশের অপেক্ষা।