তৃণমূলের আগেই মহাজোট গড়ে টেক্কা বিজেপির, একসঙ্গে উড়ল গেরুয়া-সবুজ-লাল আবীর
যে কোনও মূল্যে তৃণমূল কংগ্রেসকে রুখে দেওয়াই মূল লক্ষ্য। আর এই লক্ষ্যে ঐক্যমত্য বাংলার বিরোধী দলগুলি। এই এক সাদৃশ্যই এক মঞ্চে এনে দিল বিজেপি, সিপিএম, এমনকী কংগ্রেসকেও।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী জোট গড়তে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার আগে বিজেপিই মহাজোট করে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে পাল্টা দিল তৃণমূলকে। তৃণমূলের বিরোধী সমস্ত দলকে এক জায়গায় এনে কালিয়াগঞ্জের মালগা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করল বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস ও নির্দল।
১৯ আসনের এই পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছিল পাঁচটি আসনে. বিজেপি পায় সাতটি আসন। আর কংগ্রেস-সিপিএম জোটের দখলে যায় ৫টি ও নির্দল পায় দুটি আসন। এই অবস্থায় তৃণমূল বিরোধী মহাজোটের পক্ষে ১৪ সদস্য হয়ে যায়। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মহাজোট ড্যাংডেঙিয়ে বোর্ড গড়ে ফেলে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের লড়াইয়ে কেউই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি এই গ্রাম পঞ্চায়েতে। ফলে যেই বোর্ড গড়ুক, তাকে অন্য কোনও দলকে সঙ্গে নিতেই হত। বিজেপি একেবারে তৃণমূল বিরোধী সবাইকে নিয়ে গঠন করল বোর্ড। পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হলেন বিজেপির কলাবতী বর্মন। উপপ্রধান হলেন কংগ্রেসের গৌতম বর্মন।
বোর্ড গঠনের পর গেরুয়া-সবুজ-লাল আবীরের মাখামাখিতে দোল উৎসবের চেহারা নেয় মহাজোটের বিজয়-উল্লাস। পূর্ব মেদিনীপুরেও তৃণমূলকে রুখতে বিজেপি ও সিপিএম জোট বেঁধে বোর্ড গঠন করে। শুভেন্দু অধিকারীর গড় তমলুকের অন্তর্গত রামনগরের এই চিত্র তৃণমূল চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে।