বিশ্ববাংলা নয়, সরকারি স্বীকৃতি ‘ব’-এর! রাজ্যের প্রতীকে মিথ্যাচারের অভিযোগ বিজেপির
বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যের সরকারি প্রতীকে বিশ্ববাংলার নামগন্ধও নেই। স্বীকৃতি পেয়েছে বিশ্ববাংলার ‘ব’। বিশ্ববাংলা লোগোর স্বীকৃতি নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকার মিথ্যাচার করছে।
বিশ্ববাংলা লোগোর স্বীকৃতি নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকার মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ বিজেপির। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যের সরকারি প্রতীকে বিশ্ববাংলার নামগন্ধও নেই। স্বীকৃতি পেয়েছে বিশ্ববাংলার 'ব'। কিন্তু রাজ্যের তৃণমূল সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্ববাংলার লোগোকে সরকারি প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বলে চালানোর চেষ্টা করছেন।
[আরও পড়ুন:বিজেপি শাসিত এই রাজ্যটিতে ধর্মীয় স্থানে লাউডস্পিকার বাজানো নিয়ে জারি নয়া নির্দেশ ]
উলুবেড়িয়ার জনসভা থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা ও বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় এক যোগে বিশ্ববাংলা ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কঠোর সমালোচনা করেন। বিশ্ববাংলা নিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায়ই 'গৌরচন্দ্রিকা' করেন। লকেট বলেন, 'বিশ্ববাংলাকে স্বীকৃতি দেয়নি কেন্দ্র। স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ববাংলার 'ব'-কে।'
তারপরই সেই কথার সুর ধরেই রাহুল বলেন, 'বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে বিশ্ববাংলার লোগোও আমরা বাতিল করে দেব। তার কারণ ওটা মুখ্যমন্ত্রীর পারিবারিক সম্পত্তি। মুখ্যমন্ত্রীর পারিবারিক সম্পত্তি রাজ্যের সরকারি প্রতীক হয়ে থাকুক, তা আমরা চাই না। তাই ওই লোগোকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেই পাঠিয়ে দেব।'
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যের প্রতীক হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি দেয় বিশ্ববাংলার 'ব'-কে। এই প্রতীককে বিশ্ববাংলার সরকারি স্বীকৃতি হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন লকেট ও রাহুল-রা। তাঁদের অভিযোগ, 'এই প্রতীকের মধ্যে কোথায় বিশ্ববাংলা নেই। বিশ্ববাংলার লোগোতে ব-এর উপরে ও নিচে লেখা ছিল যথাক্রমে বাংলা ও ইংরেজিতে বিশ্ববাংলা। আর কেন্দ্রীয় সরকার যে প্রতীক অনুমোদন করেছে সেখানে ব-এর উপরে ও নিচে লেখা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও ওয়েস্ট বেঙ্গল সরকার।'
[আরও পড়ুন:মুখ্যমন্ত্রীকে 'তিন তালাক' দিন! মমতার সেই 'মহাপ্রস্থান'-এ নামাবলি উপহার দেবে বিজেপি]
উল্লেখ্য, মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েই বিশ্ববাংলা্ ইস্যুতে তোপ দেগেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। স্বভাবতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও জড়িয়েছিলেন এই ইস্যুতে। তা নিয়ে এখন লড়াই চলছে আদালতে। এদিকে গত মে মাসে এই বিশ্ববাংলার লোগোর স্বীকৃতির জন্য কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তা-ই অনুমোদন পায় এতদিনে। এখন বিতর্ক ওই লোগোর বিশ্ববাংলা যোগ নিয়েই।
শুক্রবার নবান্নে রাজ্যের সরকারি প্রতীকের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর নয়া টার্গেটও খাড়া করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশ্ববাংলার লোগোর সরকারি স্বীকৃতির পর বাংলার নাম পরিবর্তনই লক্ষ্য বলে জানান মমতা।