রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোটে বলিয়ান তারাও! হিসেব দিয়ে বিরোধীদের 'মিম' অভিযোগের জবাব বিজেপির
শুধু তৃণমূল, কংগ্রেস কিংবা বামদলগুলিই নয়, তাদের ঝুলিতেও যায় রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোট। মিমের (aimim) ভোট কাটার ফলে বিজেপির উপকৃত হওয়া প্রসঙ্গে এমনটাই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি (bjp) নেতৃত্ব।
শুধু তৃণমূল, কংগ্রেস কিংবা বামদলগুলিই নয়, তাদের ঝুলিতেও যায় রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোট। মিমের (aimim) ভোট কাটার ফলে বিজেপির উপকৃত হওয়া প্রসঙ্গে এমনটাই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি (bjp) নেতৃত্ব। এব্যাপারে গত লোকসভা নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের হিসেবও তুলে ধরেছে তারা।
বিজেপির বি টিম মিম, অভিযোগ বিরোধীদের
বিহারে এনডিএ জোটের হাতে সামান্য ব্যবধানে হেরে যাওয়ার পর কংগ্রেস অভিযোগ করেছে বিজেপির বি টিএম মিম। এব্যাপারে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং মিমকে আক্রমণ করেছেন। বিহারে ২০ টি আসনে লড়াই করে ৫ টি আসন দখল করেছে মিম। কংগ্রেস বলছে, বিহারে দেখা গিয়েছে, অন্তত ১২ থেকে ১৪ টি আসনে সংখ্যালঘু ভোট কেটেছে মিম। ফলে মহাজোটের প্রার্থীর সুতোর ব্যবধানে হেরে গিয়েছেন। এটা না হলে বিহারের পরিস্থিতি অন্যরকমের হত বলে দাবি আরজেডি থেকে কংগ্রেস সকলের।
রাজ্যে ১২০ আসনে ভাগ্য নির্ধারণে সংখ্যালঘুরা
মিম যে ভোট কাটুয়া পার্টি, তা নিয়ে কোনও দ্বিধা নেই তৃণমূলে। তারা যে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে অন্তত ছটি জেলায় মিম তাদের কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলতে পারে, সেই তথ্যও ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের হাতে। মিমের দাবি অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে যে ছটি জেলায় তাদের সংগঠন জোরদার, সেগুলি হল উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়া। মিম জানিয়েছে তারা এই জেলাগুলিতে প্রার্থী দিতে চায়। পরে এব্যাপারে তাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী রাজ্যে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ২৭.০১ শতাংশ। রাজ্যের ২৯৪ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১২০ টিতে ভাগ্য নির্ধারণ করে থাকেন মুসলিমরা।
একই অভিযোগ তৃণমূলেরও, পাল্টা জবাব মিমের
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বিহারে মিমের ফলাফলকে পাত্তা না দিয়ে বলেছেন, হায়দরাবাদ ভিত্তিক উর্দুতে কথা বলা মুসলিমদের দল হল মিম। তাঁর আরও মন্তব্য বাংলার মুসলিমরা উর্দুতে কথা বলেন না। তবে তাঁর মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছে মিমও। তারা বলছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং রাহুল গান্ধী যদি বাংলায় কথা বলতে পারেন আর তাদের দল যদি বাংলায় আসন জিততে পারে, তাহলে মিম নয় কেন। কেননা বাংলায় তাদের নেতারা তো বাংলায় কথা বলেন। তারাই তো প্রচার করবেন। বাংলায় তাদের সংগঠন তৈরি বলেও মন্তব্য করা হয়েছে মিমের তরফে।
বিজেপিও পায় সংখ্যালঘু ভোট
বিজেপি হিন্দুদের দল। মিম ভোট কেটে খালি বিজেপিকেই সাহায্য করে। বিরোধীদের এই দাবির জবাব দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। তারা বলছে, বিরোধীদের এই দাবি ভুল। কেননা বহু মুসলিম বিজেপিকে ভোট দেন। যা ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেই প্রমাণিত। এই সংক্রান্ত হিসেবও তারা দিয়েছে। দক্ষিণ মালদহ আসনে বিজেপির প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্রা চৌধুরী কংগ্রেসের কাছে হেরেছেন আট হাজার ভোটে। এই কেন্দ্রে ৬৪ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার। সেই কেন্দ্রে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৪০ শতাংশের মতো। অপর কেন্দ্র জঙ্গিপুর কেন্দ্রের হিসেবও দিয়েছে বিজেপি। তারা বলছে, এই কেন্দ্রে যেখানে মুসলিম ভোটার ৮২% , সেখানে বিজেপির মুসলিম প্রার্থী মেহফুজা খাতুন পেয়েছেন ৩১৭, ০০০ ভোট। এই দুই কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মিম কোথায় ছিল, প্রশ্ন করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, ২০২১-এর নির্বাচনে মিম যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করে, তাহলেও বিজেপির ঝুলিতে ৫ থেকে ১০ শতাংশ মুসলিম ভোট যাবে।