দেওয়াল লিখনের পরও শেষমুহূর্তে প্রার্থী বদল বিজেপির! পেশাদারিত্ব নিয়ে উঠল প্রশ্ন
দেওয়াল লেখা হয়ে গিয়েছিল এক প্রার্থীর নামে, মনোনয়নের পরই বদলে গেল প্রার্থীর নাম। রানাঘাট কেন্দ্রে রাতারাতি প্রার্থী বদল করতে হল বিজেপিকে।
দেওয়াল লেখা হয়ে গিয়েছিল এক প্রার্থীর নামে, মনোনয়নের পরই বদলে গেল প্রার্থীর নাম। রানাঘাট কেন্দ্রে রাতারাতি প্রার্থী বদল করতে হল বিজেপিকে। তাতেই প্রশ্ন উঠে পড়ল, তাহলে কি কোথাও পেশাদারিত্বের অভাব রয়ে গিয়েছে বাংলায় শাসক তৃণমূলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরে? শেষমুহূর্তে জল্পনা তুঙ্গে।
রানাঘাটে প্রার্থী বিভ্রাট
কেন্দ্র রানাঘাট। বিজেপির তরফে ঘোষিত প্রার্থী ছিলেন মুকুটমণি অধিকারী। পেশায় সরকারি চিকিৎসক। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরই দেওয়াল লেখা হয়ে গিয়েছিল। শুরু হয়েছিল প্রচারও। প্রার্থী ইস্তফা দিয়েছিলেন চাকরিতে। কিন্তু তা গৃহীত হয়নি। তাতেই বিপত্তি বাধে।
এক কেন্দ্র, চার প্রার্থী
এরপর বিজেপির চারজন মনোনয়ন জমা দেন। এক কেন্দ্র, চার প্রার্থী। কোনও একজনকে নিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেনি বিজেপি। সেই কারণেই মঙ্গলবার মনোনয়ন পেশের শেষ দিনে মনোনয়ন দাখিল করেন মুকুটমণি অধিকারী, জগন্নাথ সরকার, সুদীপ বিশ্বাস ও মানবেন্দ্র রায়।
প্রার্থী নিয়ে চূড়ান্ত নাটক
এরপর শুরু হয় নাটক। কে হবেন রানাঘাট কেন্দ্রের প্রার্থী। চূড়ান্ত নাটকের পর নদিয়া দক্ষিণের বিজেপি সভাপতি জগন্নাথ সরকারই হন রানাঘাট কেন্দ্রের প্রার্থী। কমিশনের তরফে জগন্নাথ সরকারের নাম বিবেচনা করা হয়। তারপর তড়িঘড়ি মুকুটমণি অধিকারীর দেওয়াল লিখন মুছে নতুন করে লেখার কাজ শুরু হয়।
[আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের মুখে বিজেপিতে ধস, উত্তর-পূর্বে ৩৭ সদস্য একযোগে ছাড়লেন দল]
পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন
এই ঘটনা বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়ল। কেন এমন একজনকে প্রার্থী করা হল, যাঁর মনোনয়ন সম্ভাব নয় বা তাঁর মনোনয়ন বৈধ নাও হতে পারে এমন সম্ভবনা রয়েছে। তার নামে প্রচারের পর শেষ মুহূর্তে প্রার্থী বদল বিজেপিকে লড়াই থেকে অনেকটা ছিটকে দেবে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।
[আরও পডুন: ঐক্যবদ্ধ ভারতের স্বপ্ন দেখিয়ে গেলেন রাহুল, আশ্বাস দিয়ে গেলেন ‘ন্যায়'-দানের]