বিজেপি বিধায়করা মরিয়া লোকসভার টিকিট পেতে! জনসংযোগেই পরীক্ষা, তোপ কেন্দ্রীয় নেতার
বিজেপি বিধায়করা মরিয়া লোকসভার টিকিট পেতে! জনসংযোগেই পরীক্ষা, তোপ কেন্দ্রীয় নেতার
বিজেপি নেতাদের জনসংযোগের বড় অভাব। মানুষের কাছে তাঁরা যাচ্ছেনা, উপরন্তু টিকিট চাইছেন লোকসভার। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ উঠেছে দলের অন্দরেই। বিজেপিক কেন্দ্রীয় নেতার তরফে এহেন অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপির বিধায়কদের তরফে। অভিযোগ উঠেছে, বিজেপির বিধায়করা লোকসভার টিকিট পেতে যতটা আগ্রহী, ততটা সচেষ্ট নন জনসংযোগে।
কেন্দ্রীয় নেতা বঙ্গ বিজেপির সংগঠনে এসে আসল রোগ ধরে ফেলেছেন। তাই সেই মতোই দাওয়াই দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, জনসংযোগই একজন নেতার আসল পরীক্ষা। জনসংযোগে তুমি যদি সফল হও, তবে কেউ রুখতে পারবে না তোমাকে। তা না হলে তোমাকে মুখ থুবড়ে পড়তেই হবে। তাই টিকিটের মুখাপেক্ষী না হয়ে জনসংযোগ তৈরি করুন, এই বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় নেতা সতীশ ধন্দ।
বিজেপি নেতারা বিধানসভার সদস্য বা বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পরও মানুষের সঙ্গে যোগায়োগ নেই। জনপ্রতিনিধিরাই জনবিমুখ। তাঁণরা এখন আবার এমপি হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। একটা বিধানসভা এলাকায় জনসংযোগ করতে পারলেন না, আপনি সাতটি বিধানসভার মানুষের প্রতিনিধি হয়ে উঠবেন কী করে? দল আপনাকে ভরসা করে কী করে লোকসভার দায়িত্ব দেবে, এই প্রশ্ন উঠে এসেছেন বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায়।
বিজেপির অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে রাজ্যের একাধিক জেলা সভাপতি ও বিধায়কদের সম্পর্কে এমনই মত ব্যক্ত করেছেন সম্প্রতি বাংলায় নিযুক্ত দলের যুগ্ম সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক সতীশ ধন্দ। বংলায় সংগঠনের হাল ধরতে গোয়া থেকে তাঁকে পাঠানো হয়েছিল বাংলায়। বাংলায় এসে তিনি সংগঠনের দুর্বলতা খুঁজে বের করেন। কেন বিজেপির সংগঠন এত নড়বড়ে, তা জানার চেষ্টা চালান।
সই অনুসন্ধানে নেমে নানা মিটিং-মিছিল করে মাত্র চার মাসেই তিনি বিজেপি বিধায়ক তথা জনপ্রতিনিধিদের আসল রোগ ধরে ফেলেছেন। তাঁরা যে আদৌ জনসংযোগ করতে পারেন না বা মানুষের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেন না, তা তিনি রিপোর্টে উল্লেখ করেন। সম্প্রতি হেস্টিংসের কার্যালয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বিজেপি বিধায়কদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সতীশ ধন্দ।
তিনি রিপোর্ট যা উল্লেখ করেছেন সাম্র্কতিক বৈঠকে সেই কথাউ তুলে ধরেছেন। বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে রাজ্য সংগঠনের কোন সমন্বয় নেই বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি জানান, একাংশ বিধায়ক এখন থেকেই ২০২৪ সালের টিকিট জোগাড়ে ব্যস্ত। সংরক্ষণের গেরোয় অনেকে নিরাপদ আসন খুঁজে বেড়াচ্ছেন জন প্রতিনিধি থাকার জন্য। কিন্তু জন প্রতিনিধি থাকতে গেলে সর্বাগ্রে জনসংযোগ করতে হবে, সেই সরল সত্যটা তাঁরা ভুলে গিয়েছে। শুধু কেন্দ্রীয় নেতা সতীশ ধন্দ নন, বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও অসন্তোষ ব্যক্ত করেন ওই বৈঠকে। দিলীপবাবুব বৈঠকে যে সমস্ত কথা বলেছেন, তার সঙ্গে সহমত অনেকেই। তিনি দলের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলে উদাহারণ দিয়ে জানিয়ে দেন।
রাঢ়বঙ্গ এবং হাওড়া-হুগলি-মেদিনীপুর জোনের দায়িত্বে রয়েছেন। খোদ বিরোধী দলনেতার গড় বলে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরের গত ছ'মাস ধরে ময়না ও হলদিয়া বিধানসভার পাঁচটি মণ্ডল কমিটি গঠন করা যাচ্ছে না। বিরোধী দলনেতার অনুগামী বিধায়করা নিজেদের পছন্দের মণ্ডল সভাপতি চাইছেন। সেখানে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সেই নাম বাতিল করছেন। ওই জেলার এক প্রাক্তন কাউন্সিলারকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘিরেও রাজ্য সভাপতি বনাম বিরোধী দলনেতা ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে।
একেবারে মাছে-ভাতে বাঙালি, গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছতে পাত পেড়ে খেলেন মিঠুন