অনুব্রতর গলা জড়িয়ে মনিরুলকে বিজেপিতে আনল অনুপম! ক্ষোভপ্রকাশ প্রার্থীর
বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ফেসবুকে গর্জে উঠলেন হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী রন্তিদেব সেনগুপ্ত। তিনি মনিরুল ইসলামের যোগদান থেকে শুরু করে বিজেপিতে অনুপম হাজরার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিন
বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ফেসবুকে গর্জে উঠলেন হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী রন্তিদেব সেনগুপ্ত। তিনি মনিরুল ইসলামের যোগদান থেকে শুরু করে বিজেপিতে অনুপম হাজরার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরার বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, এই লোকটা কী কারণে বিজেপিতে ঢুকেছেন।
রন্তিদেববাবু ফেসবুকে পোস্ট করেছেন- আমার আর একটি বিষয়ও আমার জানতে ইচ্ছা করছে। এই অনুপম হাজরা নামক লোকটি ঠিক কী কারণে বিজেপিতে ঢুকেছে? ভোটের সময় এই লোকটি অনুব্রত মণ্ডলের গলা জড়িয়ে ধরল। ভোট মিটতেই মুনমুন সেনের সঙ্গে ছবি তুলল। এখন মনিরুল ইসলামকে সাদরে বিজেপিতে ডেকে এনেছে। আসলে কী চান অনুপম!
রন্তিদেববাবু অনুপম হাজরারা ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। তিনি প্রকারান্তরে বুঝিয়ে দিয়েছেন, অনুপম হাজরা আসে তৃণমূল কংগ্রেসকে সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছেন। রন্তিদেববাবু বলেন, বাংলার মানুষকে মূর্খ ভাবলে ভুল করবে বিজেপি নেতৃত্ব। কারও যোগদান বা কারও ভূমিকা খতিয়ে দেখেই যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এইসব সিদ্ধান্ত বিজেপিকে শক্তিশালী করবে না, বরং দুর্বল করে দেবে। এমনটা মনে করছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরাও।
মনিরুল ইসলামেপর যোগদানের পর সোশাল মিডিয়ায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। আর রন্তিদেববাবু ফেসবুকে লেখেন-'অনুপম হাজরার হাত ধরে মনিরুল ইসলাম প্রবেশ করেছেন বিজেপিতে। এতে বিজেপির কতখানি লাভ হবে বা আমি জানি না। তবে এটুকু বলতে পারি, মনিরুলদের তাণ্ডবের প্রতিবাদে জেলার মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। এখন বিজেপি সম্পর্কে তাদের ধারণা কি হবে?