কান্দুয়া-কাণ্ডের ছায়া কোচবিহারে, কেটে নেওয়া হল বিজেপি প্রার্থীর হাতের চার আঙুল
কান্দুয়া-কাণ্ডের ছায়া এবার কোচবিহারে। কোচবিহারের তুফানগঞ্জে বিজেপির টিকিটে পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় প্রার্থীর হাতের আঙুল কেটে নিলে গুন্ডাবাহিনী।
কান্দুয়া-কাণ্ডের ছায়া এবার কোচবিহারে। কোচবিহারের তুফানগঞ্জে বিজেপির টিকিটে পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় প্রার্থীর হাতের আঙুল কেটে নিলে গুন্ডাবাহিনী। এই ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। তুফানগঞ্জের ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন ইন্দ্র দাস। তাঁরই বাম হাতের চারটি আঙুল কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন:তাহলে কবে হবে পঞ্চায়েত ভোট! আইনি গেরো খোলার পরও কি পথ পরিষ্কার হবে ]
বাম আমলে হাওড়ার আমতার কান্দুয়ায় কংগ্রেস করার অপরাধে হাত কেটে নেওয়া হয়েছিল। আড়াই দশক পরেও নির্মম সেই ঘটনার ভয়াবহতা এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। এখনও ভোট এলে আতঙ্কে কেঁপে ওঠে আমতার গ্রাম। সেই ঘটনারই ছায়া এবার দেখা দিল কোচবিহারের গ্রামে। তৃণমূলকর্মী বাবলু দাসের দলবলের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
হামলার গুরুতর আহত বিজেপি প্রার্থী ইন্দ্রকে প্রথমে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে। এদিকে বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্ব এই ঘটনার পর থেকে তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেনি।
তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন তাঁদের কেউ এই হিংসার সঙ্গে জড়িত নন। এই ঘটনা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই ঘটেছে। এই ঘটনার পিছনে বিজেপির একাংশের হাত রয়েছে। ওদের প্রার্থী নিয়ে বিবাদের জেরে হিংসার ঘটনা এখন তৃণমূলের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়াল রাজ্য! নির্বাচনের মুখে নজিরবিহীন সিদ্ধান্তে বিতর্ক]