প্রচারের বেরিয়ে গুলিবিদ্ধ মালদহের বিজেপি প্রার্থী, ভর্তি হাসপাতালে
মালদহে (malda) প্রচারের বেরিয়ে গুলিবিদ্ধ বিজেপি (bjp) প্রার্থী গোপালচন্দ্র সাহা (gopalchandra saha)। পুরাতন মালদহের সাহাপুরে প্রচারের সময় তাঁর ওপরে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। বিজেপি প্রার্থীর গলায় গুলি লাগে। তাঁকে সঙ্গে স
মালদহে (malda) প্রচারের বেরিয়ে গুলিবিদ্ধ বিজেপি (bjp) প্রার্থী গোপালচন্দ্র সাহা (gopalchandra saha)। পুরাতন মালদহের সাহাপুরে প্রচারের সময় তাঁর ওপরে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। বিজেপি প্রার্থীর গলায় গুলি লাগে। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।
দুষ্কৃতী হামলা, বলছেন প্রার্থী
রাত তখন সাড়ে আটটার কিছু বেশি। পুরাতন মালদহের সাহাপুর বাজারে প্রচার করছিলেন বিজেপি প্রার্থী গোপালচন্দ্র সাহা। সেই সময় হঠাৎই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চলে। গুলি লাগে গলায়। বিজেপি প্রার্থী লুটিয়ে পড়েন। প্রার্থী জানিয়েছেন, দুষ্কৃতী হামলার কথা। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হতে পারে। কিংবা কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রচার শেষ করার পরেই এই হামলা হয়। এই ঘটনায় তিনি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ না করলেও, কেউ দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা গেল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে। যদিও বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের তরফে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদিও তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
গোপালচন্দ্র সাহার প্রার্থীপদ নিয়ে দলেই ছিল বিক্ষোভ
মালদহ কেন্দ্রে গোপাল চন্দ্র সাহার প্রার্থীপদ নিয়ে দলের মধ্যেই ছিল বিক্ষোভ। বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই একদিকে যেমন মালদহের গোপালচন্দ্র সাহার প্রার্থীপদ নিয়ে বিক্ষোভ হয়, ঠিক তেমনই হরিশ্চন্দ্রপুরে মতিউর রহমানের প্রার্থীপদ নিয়েও বিক্ষোভ হয়। দলীয় দফতরে ভাঙচুরও করা হয়। বিজেপির একটি অংশের অভিযোগ ছিল গোপাল সাহার ভাবমূর্তি ঠিক নয়। যদিও শেষে সেই গোপালচন্দ্র সাহাকে মেনে নিয়েই এলাকায় প্রচার শুরু করে বিজেপি।
একাধিক অভিযোগ ছিল প্রার্থীর বিরুদ্ধে
প্রার্থী হওয়ার পরেই বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে জোড়া জাতি শংসাপত্র থাকার অভিযোগ কমিশনের কাছে জানিয়েছিলেন এর বিজেপি নেতা। একটি ওবিসি এবং একটি তফশিলি জাতির সার্টিফিকেট। স্থানীয় বিজেপি নেতা উৎপল হালদার অভিযোগ করেছিলেন প্রথমে গোপালচন্দ্র সাহা ওবিসি সার্টিফিকেট বের করেছিলেন। তারপর তিনি তফশিলি সার্টিফিকেট বের করেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন বিজেপি নেতা।
আগামী ২৪ ঘন্টায় জেলায়-জেলায় কালবৈশাখীর পূর্বাভাস, একনজরে বাংলার আবহাওয়া