মমতার সরকার টিকিয়ে রাখার ‘নিদান’ ভারতীর, অন্যথায় আশ্রয় হবে পাকিস্তানে
পুলিশ সুপার হিসাবে কাজ করার সময় যার কাজ ও নিরপেক্ষতা নিয়ে বিরোধীরা বারে বারে প্রশ্ন তুলেছেন সেই ভারতী ঘোষ এখন বিজেপির প্রার্থী হয়ে পুলিশকেই নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করার পরামর্শ দিলেন।
পুলিশ সুপার হিসাবে কাজ করার সময় যার কাজ ও নিরপেক্ষতা নিয়ে বিরোধীরা বারে বারে প্রশ্ন তুলেছেন সেই ভারতী ঘোষ এখন বিজেপির প্রার্থী হয়ে পুলিশকেই নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করার পরামর্শ দিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর প্রথম নির্বাচনী জনসভায় ভারতী বললেন, পুলিশের সাহায্য না পেলে এই রাজ্যের সরকার একদিনও থাকবে না।
মাওবাদী তকমায় জেলে ঢোকানার শঙ্কা
যাঁর হাত ধরে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলায় অনেক মাওবাদী নেতা আত্মসমপর্ণ করেছিলেন সেই তিনিই এখন রাজ্য সরকারের কাজ ও বিরোধীদের প্রতি মনোভাব দেখে আশঙ্কা করছেন, তাঁদেরও মাওবাদী বলে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হতে পারে।
মাওবাদী তকমার উদাহরণ ভারতীর
কামদুনিতে যখন এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করার প্রতিবাদে সাধারণ মানুষের আন্দোলন হয়, তখন মুখ্যমন্ত্রী তার পিছনে মাওবাদীদের দেখতে পেয়েছিলেন। বেলপাহাড়িতে সভায় সারের দাম নিয়ে শিলাদিত্য চৌধুরী প্রশ্ন করায় তিনিও মাওবাদী তকমা পেয়েছিলেন। তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। এখন দেখবেন আমরা প্রশ্ন করায় আমাদেরকেও মাওবাদী বলে ঢুকিয়ে দেবে।
রাজ্য সরকারকে অসুস্থ সরকার তোপ
এই রাজ্য সরকারকে বারে বারে অসুস্থ সরকার বলে তোপ দাগেন ভারতী। তিনি বলেন পুলিশের সাহায্য ছাড়া এই সরকার একদিনও থাকতে পারবে না। যদি একদিনের জন্য পুলিশ ছুটি নেয়, থানায় তালা মেরে দেয়, তাহলে এই সরকার থাকবে না। বাংলাদেশ, নেপাল বা ইমরান খানের পাকিস্তানে গিয়ে আশ্রয় নেবে। এদের কোন লজ্জা নেই।
নিরপেক্ষভাবে কাজ করার বার্তা পুলিশকে
প্রায় ২৪ বছর পুলিশে চাকরি করার পর ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ইস্তফা দেন ভারতী ঘোষ। এদিন ত্রিপুরার উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণুদেব বর্মনের সামনেই পুলিশকে সাবধান করে তাদের নিরপেক্ষভাবে কাজ ও চাকরি করার পরামর্শ দেন জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, আপনাদের সাবধান করে দিয়ে গেলাম। নিরপেক্ষভাবে কাজ করুন।
তেল দেওয়া শেষ হলে ভিক্ষার বাটিও পাবেন না
তাঁর কথায়, নিরপেক্ষতা বজায় রেখে আপনারা কর্ম ও ধর্ম পালন করতে না পারলে শুধু তেল দিয়েই যেতে হবে। বাটির তেল শেষ হয়ে যাবে আর আপনারা ভিক্ষার বাটিও পাবেন না। আপনাদের বাড়ি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিছুই পাননি। সেই প্রত্যাশা আজ শুধুই হতাশা।
সাংসদ দেবকে তোপ ভারতীর
এই সভা থেকে সারদা-নারদ কলেঙ্কারি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন। বিঁধতে ছাড়েননি দেবকেও। ভারতী বলেন, এখানকার সাংসদ এলাকার উন্নয়ন নিয়ে ভাবেননি। সংসদে যাননি। শুধু সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। রাজ্যের নানা কেলেঙ্কারি ও এসএসসি পা, করেও চাকরি না পেয়ে যে অনশন চলছে, তার জন্য রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন ভারতী ঘোষ।