বিজেপিকে আদি-নব্য দ্বন্দ্বের মাশুল গুনতে হচ্ছে! একুশের ভোটের মুখে পত্রবোমা
একুশের ভেটের মুখে বিজেপিতে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। তৃণমূলের ঘর ভাঙতে গিয়ে বিজেপির ঘরেও আগুন লেগেছে বহু ক্ষেত্রে। দলে নব্যদের আনাগোনায় আদি নেতা-কর্মীরা অনেকেই মনক্ষুণ্ণ।
একুশের ভোটের মুখে বিজেপিতে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। তৃণমূলের ঘর ভাঙতে গিয়ে বিজেপির ঘরেও আগুন লেগেছে বহু ক্ষেত্রে। দলে নব্যদের আনাগোনায় আদি নেতা-কর্মীরা অনেকেই মনক্ষুণ্ণ। ভোটের মুখে ঘর সমালানোর আবেদন জানিয়ে এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাড়িতে পত্রবোমা পাঠানো হল।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখান যাঁরা
সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখান প্রথম সারির অনেক নেতা। শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, শীলভদ্র দত্ত থেকে শুরু করে দীপক হালদার-সহ শতাধিক জনপ্রতিনিধি যোগ দেন বিজেপিতে। শুধু বড় নাম নয়, অনেক নিচুতলার নেতা-নেত্রীও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
বিজেপির আদি নেতাদের কোপে যখন নব্যরা
নিচুতলার কিছু নেতা-কর্মীর বিজেপিতে প্রবেশ মেনে নিতে পারছেন না আদি নেতারা। তাঁরা তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। এমনকী তৃণমূলের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ঘটনায় বিজেপির আদি নেতাদের কোপে পড়েন মুকুল রায়। কারণ তাঁর হাত ধরে আসা নেতাদের অনেককে মানতে পারেননি বিজেপির আদি নেতারা।
আদিরাই ব্রাত্য রয়ে যাচ্ছেন বিজেপিতে
আদি নেতাদের ক্ষোভ, তাঁরা এতদিন দলকে বাঁচিয়ে রেখে দিয়েছেন। অথচ তাঁরাই ব্রাত্য রয়ে যাচ্ছেন বিজেপিতে। তৃণমূল থেকে আসা বিজেপি নেতারাই সমস্ত দায়িত্ব ও পদ পছন্দমতো ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। এই আদি-নব্য সংঘাত বিজেপির কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কিছুদিন আগে সৌমিত্র খান মোর্চার সাংগঠনিক রদবদল করেছিলেন। তা বাতিল করে দেন দিলীপ ঘোষ। তা নিয়েও দ্বন্দ্ব গড়া দিল্লির দরবার পর্যন্ত।
বিজেপিতে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আনাগোনা, চিঠি
রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের আশঙ্কা, বিজেপিতে এই তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আনাগোনায়, তাঁদের দলের আদি নেতা-কর্মীরা অনেকেই তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। কিংবা নির্বাচনের আগে নিস্ক্রিয় হয়ে যেতে পারেন। রাজ্য বিজেপির সহসভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় এই পরিস্থিতিতে শীর্ষ পদাধিকারীকে চিঠি পাঠালেন।
বিজেপিতে অধিক সন্ন্যাসীকে গাজন নষ্টের চেষ্টা
সেই চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের অনুপতি ব্যতীত কোনও রদবদল করা যাবে না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছের মানুষ হওয়ার জন্য গেরুয়া শিবিরের অন্দরে চরম প্রতিযোগিতা চলছে। তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের মধ্যেই এখন বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা। একুশের ভোটের মুখে বিজেপিতে অধিক সন্ন্যাসীকে গাজন নষ্টের চেষ্টা।