কাঁকিনাড়ায় আক্রান্ত দিলীপ, প্রতিবাদে লালবাজার অভিযান, রাজ্যে গর্জে উঠল বিজেপি
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কাঁকিনাড়ায় সভা সেরে ফেরার পথে হামলার মুখে পড়েন। প্রতিবাদে গর্জে উঠল রাজ্য বিজেপি। লালবাজার অভিযানের ডাক দেওয়া হয়।
কাঁকিনাড়ায় দিলীপ ঘোষের উপর হামলার প্রতিবাদে গর্জে উঠল রাজ্য বিজেপি। শনিবার বিজেপি লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছিল। সেই লালবাজার অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট চত্বর। ব্যারিকেড করে মিছিল আটকাতেই শুরু হয় খণ্ডযুদ্ধ। বিজেপি কর্মীদের পাল্টা আঘাতে গুরুতর জখম হন পুলিশকর্মীরা। আসানসোল-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গর্জে ওঠে বিজেপি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কাঁকিনাড়ায় সভা সেরে ফেরার পথে হামলার মুখে পড়েন। একদল দুষ্কৃতী দিলীপবাবুর গাড়ি লক্ষ্য করে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ইট, বাঁশ, লাঠি নিয়ে হামলা চালানো হয়। কিল-চড় ঘুসিও মারা হয় কর্মীদের। এই পরিস্থিতিতে দিলীপবাবুর দেহরক্ষী শূন্যে গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ওই দেহরক্ষীও ইটের আঘাতে গুরুতর জখম হন বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় অভিযোগের তির ছিল ভাটপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অর্জুন সিংয়ের দলবলের দিকে। অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত গুণ্ডাবাহিনীই এই হামলার মূলে ছিল। দিলীপবাবু বলেন, 'আমচকাই একদল দুষ্কৃতীয় তাঁরা গাড়ির উপর চড়াও হয়। বাঁশ, লাঠি নিয়ে কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করতে শুরু করে।'
সকালে সভাস্থলে হামলা চালিয়ে যথেচ্ছ ভাঙচুর করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় সভামঞ্চ। তবু বিজেপি নেতৃত্ব সভা করার ব্যাপারে এককাট্টা ছিল। সেইমতোই পুনরায় সভার আয়োজন করে বিজেপি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও যান সেই সভায় যোগ দিতে। তারপর সভা সেরে ফেরার পথে হামলার মুখে পড়েন দিলীপবাবু।
তারই প্রতিবাদে লালবাজার অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচিও নেওয়া হয়। লালবাজার অভিযান আটকাতে প্রায় ২০০ মিটার দূরে এদিন ব্যারিকেড করে পুলিশ। সেই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে। দু-পক্ষেরই বেশ কয়েকজন জখম হন।
এরপর রাস্তার উপরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুত্তুল দাহ করার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। কুশপুত্তুল কেড়ে নেওয়া হয়। তারপরই বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা পার্টির সদর দফতরের সামনে চলে আসেন। সেখানে প্রতিবাদ সভা করা হয়।
[আরও পড়ুন : দিলীপের সভার আগেই 'ভ্যানিস' মঞ্চ, তাণ্ডবের অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের দিকে ]
একইভাবে আসানসোল-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেও বিক্ষোভ কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। বহুক্ষেত্রেই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হলেও কুশপুত্তুল দাহ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তা নিয়েই বিক্ষোভ গড়ায় খণ্ডযুদ্ধে।