বাংলায় নতুন 'দল' গড়ছে বিজেপি! এনআরসির প্রচারে শুরু হয়ে গেল হোমওয়ার্ক
অসমে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরই বাংলায় নতুন টিম গড়ার উদ্যোগ নিল বিজেপি। কেন এনআরসি, কী তার সুফল- তা বোঝাতেই নতুন টিম গড়ে প্রচারে নেমে পড়েতে চাইছে পদ্ম শিবির।
অসমে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরই বাংলায় নতুন টিম গড়ার উদ্যোগ নিল বিজেপি। কেন এনআরসি, কী তার সুফল- তা বোঝাতেই নতুন টিম গড়ে প্রচারে নেমে পড়েতে চাইছে পদ্ম শিবির। দেশজুড়ে এনআরসি নিয়ে যতই শোরগোল পড়ুক, বিজেপি যে এনআরসি-র পথ থেকে এক বিন্দু সরছে না, তা পরিষ্কার করে দিল তারা।
এনআরসি প্রচারে বিজেপি
রাজ্যে এনআরসি আর নাগরিকত্ব বিলের সমর্থনে প্রচার শুরু করবে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির দুই সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ও সায়ন্তন বসুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পুজোর আগেই বিজেপি জোর প্রচার শুরু করে দিতে চাইছে।
এনআরসি-র প্রচারে নয়া টিম
অসমে এনআরসির পরই রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় জোর গলায় বলেছিলেন, বাংলাতেও এনআরসি হবে। কারণ বাংলা অনুপ্রবেশকারীদের প্রবেশদ্বার। বাংলা দিয়েই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েন অনুপ্রবেশকারীরা। তারপর বাংলায় এনআরসি-র প্রচার টিম গড়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
বাংলায় এনআরসির হোমওয়ার্ক
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বঙ্গ বিজেপি এনআরসির ব্যাপারে হোমওয়ার্ক শুরু করে দিয়েছে। উদ্বাস্তু সেলের কনভেনর মোহিত রায় নানা জায়গায় বক্তব্য রাখছেন। এবার নতুন টিম তৈরি হলে ব্লকে ব্লকে অঞ্চলে অঞ্চলে প্রচার শুরু হবে।
পুস্তিকা আকারে বিলির ভাবনা
বাড়িতে বাড়িতে এনআরসি কী এবং কেন, কী এর উপকারিতা, কী সুফল মিলবে এ থেকে, তা পুস্তিকা আকারে বিলি করতে চাইছে বিজেপিতে। বাংলার মানুষকে এনআরসি-র প্রয়োজনীয়তা বোঝাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই উদ্যোগের মাধ্যমেই বুঝিয়ে দিতে চাইছে কারা অনুপ্রবেশকারী আর কারা উদ্বাস্তু।
কারা অনুপ্রবেশকারী, কারা শরণার্থী
বিজেপির কথায়, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে এ দেশে আসা মুসলমানরা অনুপ্রবেশকারী। আর ওই দেশ থেকে আসা হিন্দু-সহ অন্য ধর্মাবলম্বীরা শরণার্থী। প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা ওইসব শরণার্থীদের পাশে থাকবে সরকার, তাদের জন্য নাগরিকত্ব বিল আনা হবে।
বাংলায় এনআরসি কার্যকর হবে
এ নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্পষ্টতই বলে দিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে বোআইনিভাবে বাংলায় ঢোকা মুসলিমদের তাড়াতে চায় বিজেপি। আসন্না বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় এলেই তাঁরা বাংলায় এনআরসি কার্যকর করবে। এনআরসি সারা দেশেই হবে, বাংলা তার থেকে বাদ যাবে না। একই কথা কৈলাশের মুখেও।
[আরও পড়ুন: দেশের আর্থিক দুর্দশার জন্য মোদী সরকারকেই দায়ী করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী]