বিজেপি জোটসঙ্গী পেয়ে গেল অবশেষে, গুরুংয়ের বার্তার পর ফের টুইস্ট পাহাড় রাজনীতিতে
সাড়ে তিন বছর পর পাহাড়ে পা দেওয়ার আগেই বিমল গুরুং প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি আসন্ন একুশের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সমর্থন করবেন। বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি বিষোদ্গার করে জানিয়েছিলেন, কোনও কথা রাখেননি মোদী-শাহরা। বাংলার ভোটে তাই তাঁদের সমর্থন তৃণমূলের দিকেই। আচমকা বদলে গিয়েছিল পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ। ফের পাহাড়ে এল টুইস্ট।

জিএনএলএফের সমর্থন বিজেপিকেই
বিমল গুরুংয়ের সমর্থন মমতার দিকে এই বার্তার পরই বিজেপি কোমর বাঁধে পাহাড়ে বিনয় তামাং-অনীত থাপাদের সমর্থন পাওয়ার জন্য। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দুই গোষ্ঠীকে মিলিয়ে দিতে তৎপর হয়েছেন। এরই মাঝে জিএনএলএফ আবার স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিল তাঁরা বিজেপিকেই সমর্থন করবে।

নয়া মোড় পাহাড়ের রাজনীতিতে
২০১৯-এ বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বে জিএনএলএফ-সহ পাহাড়ের ছোট দলগুলি বিজেপিকে সমর্থন করেছিল। মূলত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিমল গুরুং গোষ্ঠী, জিএনএলএফ প্রভৃতি দলের শক্তিতে ভর করেই দার্জিলিং আসনটি দখল করে বিজেপি। এরপরই খেলা ঘুরিয়ে দেন বিমল গুরুং। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থনের বার্তা দিলেই মোড় নেয় পাহাড়ের রাজনীতি।

জিএনএলএফ-সহ পাহাড়ের ছোট দলগুলিকে নিয়ে জোট
কৈলাশ বিজয়বর্গীয়রা এবার হাত বাড়ান গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিনয় তামাং-অনীত থাপার দিকে। তবে তাদের দিক থেকে এখনও কোনও সাড়া না পেয়ে জিএনএলএফ-সহ পাহাড়ের ছোট দলগুলিকে নিয়ে জোট গড়ার সুযোগ খুঁজতে শুরু করে বিজেপি। এরই মধ্যে জিএনএলএফ তাঁদের পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে দেন বিজেপির প্রতি।

একুশে বিজেপির টুইস্ট পাহাড় রাজনীতিতে
জিএনএলএফ নেতা মহেন্দ্র ছেত্রী জানান, ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেছিলাম। আমরা সেই জোট রাখতে চাই। বিজেপির সায়ন্তন বসুও বলেন, আমরা জিএনএলেফের সঙ্গে জোট করে লড়ব আসন্ন ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে। বিজেপির সমর্থনে জিএনএলএফ প্রার্থী হয়েছিলেন নীরজ জিম্বাও, তিনিও বিজেপির হয়ে সওয়াল করেন।